২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এক সভায় গোলাপগঞ্জবাসীর মধ্যে পারস্পরিক সেতুবন্ধ, কমিউনিটিতে মেধা ও মননের চর্চা এবং প্রবাসী গোলাপগঞ্জের গুণীজনদের পরিচিতি বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার সংকল্প নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে গোলাপগঞ্জ ট্রাস্ট (ইউকে)।

লেখক ও সাংবাদিক আনোয়ার শাহজাহানের আহ্বানে পূর্ব লন্ডনের ১১০ নম্বর হোয়াইট চ্যাপেলের একটি রেস্টুরেন্টে গোলাপগঞ্জ ট্রাস্ট ইউকের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও সমাজবিজ্ঞানী ড. রেনু লুৎফা। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন মাওলানা শওকত আলী।
আনোয়ার শাহজাহানের উপস্থাপনায় সভার শুরুতে সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সভা আহ্বানের কারণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমরা একটি নতুন সংগঠন প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যেটি ব্রিটেন প্রবাসী গোলাপগঞ্জবাসীর জন্য কাজ করবে। এ জন্য আপনাদের সকলের সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করছি।
”তিনি আরো বলেন, “নতুন এই সংগঠন বিলাতবাসী গোলাপগঞ্জের সব প্রজন্মকে নিয়ে ‘গোলাপগঞ্জ ফেস্টিভ্যাল’-এর আয়োজন করবে। এ ছাড়া বিলাতে গোলাপগঞ্জবাসীর মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের জন্য গুণীজন সম্মাননা, মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসবের মাধ্যমে পরিচয় করিয়ে দেয়ার পাশাপাশি তাদের পরিচিতি তুলে ধরে ম্যাগাজিন প্রকাশ করা হবে।
ভবিষ্যতে সদস্যদের দেয়া ফি দিয়ে ব্রিটেনে গোলাপগঞ্জ হাউস নামে একটি ভবন কেনা হবে, যেখানে গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা এবং গোলাপগঞ্জবাসীর বিভিন্ন অনুষ্ঠান হবে। তিনি সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে নির্বাচন পদ্ধতি ও কমিটি গঠনের কথা উল্লেখ করে বলেন, “এতে আমাদের মধ্যে বিভক্তির আশঙ্কা কমে যাবে। নতুন এই সংগঠন প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন থেকে সাহিত্যিক রুহুল আমিন রুহেলের সাথে পরামর্শ করে আসছি। এ ব্যাপারে ফারুক চৌধুরী, তারেকুর রহমান ছানু, রোমান আহমদ চৌধুরী, বদরুল আলম বাবুলসহ আরো অনেকের সমর্থন পেয়েই আজকের এই সভা আহ্বান করেছি।” আনোয়ার শাহজাহানের প্রস্তাবে সমর্থন করে নতুন সংগঠন প্রতিষ্ঠায় উপস্থিত সবাই সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সভায় পরামর্শমূলক বক্তব্য দেন ড. রেনু লুৎফা, ড. আব্দুল আজিজ তকি, মুক্তিযোদ্ধা আমান উদ্দিন, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেইন, মোহাম্মদ লোকমান উদ্দীন, রুহুল আমিন রুহেল, মাহমুদুর রহমান শানুর, ফারুক চৌধুরী, দেওয়ান নজরুল ইসলাম, বদরুল আলম বাবুল, রোমান আহমদ চৌধুরী, তারেকুর রহমান ছানু, রফি আহমদ চৌধুরী সিবা, মিছবাহুল হক মাসুম, বিলাদুর রহমান কাসেম, শিয়াব উদ্দিন, রেজাউল ইসলাম বিল্লাহ প্রমুখ।
সভায় ড. রেনু লুৎফাকে আহ্বায়ক এবং আনোয়ার শাহজাহানকে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্যবিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সংগঠনের আদর্শ ও উদ্দেশ্যের প্রতি যাঁদের আস্থা ও সমর্থন রয়েছে, তাঁদের নিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের জন্য আনোয়ার শাহজাহানকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
![]()
গোলাপগঞ্জ ট্রাস্টের (ইউকে) প্রতিষ্ঠাকালীন প্রথম সভায় যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা হলেন ড. রেনু লুৎফা (রানাপিং, গোলাপগঞ্জ), মুক্তিযোদ্ধা আমান উদ্দিন (চন্দরপুর, বুধবারীবাজার), ড. আব্দুল আজিজ তকি (রানাপিং ছত্রিশ, গোলাপগঞ্জ), মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন (বুধবারীবাজার), মোহাম্মদ লোকমান উদ্দীন (সতুনমর্দন, বাদেপাশা), রুহুল আমিন রুহেল (দত্তরাইল, ঢাকাদক্ষিণ), মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত (আলমপুর, বাদেপাশা), আনোয়ার শাহজাহান (রায়গড়, ঢাকাদক্ষিণ), ফারুক চৌধুরী (রনকেলী, গোলাপগঞ্জ পৌরসভা), মোহাম্মদ শামীম আহমদ (বারকোট, ঢাকাদক্ষিণ), মোহাম্মদ শওকত আলী (গোলাপনগর, বাঘা), মাহমুদুর রহমান শানুর (কানিশাইল, ঢাকাদক্ষিণ), জিল্লুর রহমান (বুধবারীবাজার), রোমান আহমদ চৌধুরী (ভাদেশ্বর), বদরুল আলম বাবুল (লামা চন্দরপুর, বুধবারীবাজার), জহির হোসেন গউছ (বাগিরঘাট, বুধবারীবাজার), দেওয়ান নজরুল ইসলাম (রায়গড়, ঢাকাদক্ষিণ), মোহাম্মদ আব্দুল মতিন (নিজ ঢাকাদক্ষিণ, লক্ষনাবন্দ), সৈয়দ মুজিবুল ইসলাম আজু (নালিউরী, ভাদেশ্বর), তারেকুর রহমান ছানু (পনাইরচক, শরিফগঞ্জ), রফি আহমদ চৌধুরী সিবা (ফুলবাড়ি), শিয়াব উদ্দিন (ধারাবহর, আমুড়া), মোহাম্মদ শামীম আহমদ (দাড়িপাতন, পৌরসভা), বিলাদুর রহমান কাসেম (আমনিয়া, আমুড়া), মুহিবুর রহমান মুহিব (সরস্বতী কামারগাঁও, পৌরসভা), হারুনুর রশিদ মুজিব (গোলাপগঞ্জ), মিছবাউল হক মাছুম (গৌরাবাড়ি, বাঘা), রেজাউল ইসলাম বিল্লাহ (দক্ষিণভাগ, লক্ষিপাশা)), জাহেদ আহমদ (দক্ষিণবাঘা, বাঘা), সালেহ আহমদ (চন্দরপুর, বুধবারীবাজার), শামছুদ্দীন খান (কালিজুরী, বুধবারীবাজার) প্রমুখ।
