নতুন স্বপ্ন আর সম্ভাবনা নিয়ে যাত্রা শুরু করে গোলাপগঞ্জ ট্রাস্ট ইউকে

 

২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এক সভায় গোলাপগঞ্জবাসীর মধ্যে পারস্পরিক সেতুবন্ধ, কমিউনিটিতে মেধা ও মননের চর্চা এবং প্রবাসী গোলাপগঞ্জের গুণীজনদের পরিচিতি বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার সংকল্প নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে গোলাপগঞ্জ ট্রাস্ট (ইউকে)। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর এক সাধারণ সভায় গোলাপগঞ্জ ট্রাস্ট ইউকে এর নাম পরিবর্তন করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট (ইউকে) রাখা হয়।

 

লেখক ও সাংবাদিক আনোয়ার শাহজাহানের আহ্বানে পূর্ব লন্ডনের ১১০ নম্বর হোয়াইট চ্যাপেলের একটি রেস্টুরেন্টে গোলাপগঞ্জ ট্রাস্ট (ইউকে) এর আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট লেখক ও সমাজবিজ্ঞানী ড. রেণু লুৎফা এবং সভা পরিচালনা করেন আনোয়ার শাহজাহান। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন মাওলানা শওকত আলী।

সভার শুরুতে আনোয়ার শাহজাহান নতুন সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে উপস্থিত সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। পাশাপাশি একটি সংবিধানের খসড়া সবার অবগতির জন্য তুলে ধরে আগামী সভায় সংবিধানের সংযোজন, পরিবর্ধন ও পরিবর্তনের মাধ্যমে চূড়ান্ত করার কথা উল্লেখ করেন। তিনি সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে নির্বাচন পদ্ধতি ও কমিটি গঠনের কথা উল্লেখ করে বলেন, “এতে আমাদের মধ্যে বিভক্তির আশঙ্কা কমে যাবে। নতুন এ সংগঠন প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন থেকে অনেকের সাথে পরামর্শ করে আসছি। সকলের সমর্থন পেয়েই আজকের এই সভা আহ্বান করেছি।” আনোয়ার শাহজাহানের প্রস্তাবে সমর্থন করে নতুন সংগঠন প্রতিষ্ঠায় উপস্থিত সবাই সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

সভায় পরামর্শমূলক বক্তব্য দেন ড. রেণু লুৎফা, ড. আব্দুল আজিজ তকি, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আমান উদ্দিন, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, রুহুল আমিন রুহেল, মোহাম্মদ লোকমান উদ্দিন, মাহমুদুর রহমান শানুর, ফারুক চৌধুরী, দেওয়ান নজরুল ইসলাম, বদরুল আলম বাবুল, রোমান আহমদ চৌধুরী, তারেক রহমান ছানু, রফি আহমদ চৌধুরী সিবা, বিলাদুর রহমান কাসেম, শিহাব উদ্দিন, রেজাউল ইসলাম বিল্লাহ প্রমুখ।

 

গোলাপগঞ্জ ট্রাস্ট বিলাতবাসী গোলাপগঞ্জের সব প্রজন্মকে নিয়ে গোলাপগঞ্জ উৎসবের আয়োজন করবে। এ ছাড়া বিলাতে গোলাপগঞ্জবাসীর মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের জন্য গুণীজন সম্মাননা, মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসবের মাধ্যমে পরিচয় করিয়ে দেয়ার পাশাপাশি তাদের পরিচিতি তুলে ধরে ম্যাগাজিন প্রকাশিত হবে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে সদস্যদের দেয়া ফি দিয়ে পূর্ব লন্ডনে গোলাপগঞ্জ হাউস নামে একটি ভবন কেনা হবে, যেখানে গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা এবং গোলাপগঞ্জবাসীর বিভিন্ন অনুষ্ঠান করা হবে।

সভায় ড. রেণু লুৎফাকে আহ্বায়ক এবং আনোয়ার শাহজাহানকে সদস্য সচিব করে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সংগঠনের আদর্শ ও উদ্দেশ্যের প্রতি যাঁদের আস্থা ও সমর্থন রয়েছে, তাঁদের নিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের জন্য সদস্য সচিব আনোয়ার শাহজাহানকে দায়িত্ব দেয়া হয়।

 

গোলাপগঞ্জ ট্রাস্টের (ইউকে) প্রতিষ্ঠাকালীন প্রথম সভায় যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা হলেন ড. রেণু লুৎফা (রানাপিং, গোলাপগঞ্জ), মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আমান উদ্দিন (চন্দরপুর, বুধবারীবাজার), ড. আব্দুল আজিজ তকি (রানাপিং ছত্রিশ, গোলাপগঞ্জ), মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন (বুধবারীবাজার), মোহাম্মদ লোকমান উদ্দিন (সতুনমর্দন, বাদেপাশা), রুহুল আমিন রুহেল (দত্তরাইল, ঢাকাদক্ষিণ), আনোয়ার শাহজাহান (রায়গড়, ঢাকাদক্ষিণ), ফারুক চৌধুরী (রণকেলী, গোলাপগঞ্জ পৌরসভা), মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত (আলমপুর, বাদেপাশা), মোহাম্মদ শামীম আহমদ (বারকোট, ঢাকাদক্ষিণ), মোহাম্মদ শওকত আলী (গোলাপনগর, বাঘা), মাহমুদুর রহমান শানুর (কানিশাইল, ঢাকাদক্ষিণ), রোমান আহমদ চৌধুরী (ভাদেশ্বর), বদরুল আলম বাবুল (লামা চন্দরপুর, বুধবারীবাজার), মোহাম্মদ জহির হোসেন গৌছ (বাগিরঘাট, বুধবারীবাজার), দেওয়ান নজরুল ইসলাম (রায়গড়, ঢাকাদক্ষিণ), মোহাম্মদ আব্দুল মতিন (নিজ ঢাকাদক্ষিণ, লক্ষণাবন্দ), সৈয়দ মুজিবুল ইসলাম আজু (নালিউরী, ভাদেশ্বর), তারেক রহমান ছানু (পনাইরচক, শরিফগঞ্জ), রফি আহমদ চৌধুরী সিবা (ফুলবাড়ি), শিহাব উদ্দিন (ধারাবহর, আমুড়া), মোহাম্মদ শামীম আহমদ (দাড়িপাতন, গোলাপগঞ্জ পৌরসভা), বিলাদুর রহমান কাসেম (আমনিয়া, আমুড়া), মুহিবুর রহমান মুহিব (সরস্বতী কামারগাঁও, গোলাপগঞ্জ পৌরসভা), হারুনুর রশিদ মুজিব, গোলাপগঞ্জ), রেজাউল ইসলাম বিল্লাহ (দক্ষিণভাগ, লক্ষ্মীপাশা), সালেহ আহমদ (চন্দরপুর, বুধবারীবাজার), শামস উদ্দিন খান (কালিজুরী, বুধবারীবাজার) প্রমুখ।