ব্রিটেনে বসবাসরত গোলাপগঞ্জবাসীকে নিয়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় সমুদ্রসৈকত ভ্রমণ। ২০১৮ সালের ৮ জুলাই রবিবার সকাল ৮টা থেকে পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে ট্রাস্টের সদস্যরা তাঁদের পরিবার নিয়ে একে একে জড়ো হতে থাকেন। সবার চোখেমুখে ছিল আনন্দ-উচ্ছ্বাস। সমুদ্রসৈকতে ৬টি কোচে প্রায় আড়াই শতাধিক লোকের বহর নিয়ে ভ্রমণে গোলাপগঞ্জবাসীর বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল লক্ষণীয়।
সমুদ্রসৈকত ভ্রমণে বাংলাদেশ থেকে এসে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বর্তমানে বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বীর-উত্তম ও তাঁর সহধর্মিণী। সমুদ্রসৈকতে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ট্রাস্টের সদস্যরা তাঁদের পরিবার নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।
মার্গেট সমুদ্রসৈকত ভ্রমণে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের নাম: গোলাপগঞ্জ পৌরসভা থেকে শামীম আহমদ, খালেদুর রহমান প্রমুখ।
বাঘা ইউনিয়ন থেকে জাহেদ আহমদ, মিছবাউল হক, কামরুল ইসলাম, আজিজুর রহমান খান, সাবিহা খানম, আব্দুল্লাহ আর রকি, নাসরিন আক্তার, দুলাল আহমদ, তামান্না ফয়েজ, ফাহিম ফয়েজ, মনির উদ্দিন প্রমুখ।
গোলাপগঞ্জ ইউনিয়ন থেকে মেজর জেনারেল (অব.) আজিজুর রহমান বীর-উত্তম, ড. রেণু লুৎফা, সেলিনা আজিজ, সালমা মিয়া, নুরজাহান বেগম, ফারুক আহমদ, সায়াদ আহমদ সাদ, জিলানি আহমদ সাদ, আয়ান আহমদ সাদ, রবিউল ভুঁইয়া, ইয়াহিয়া খান, হোসাইন রশিদ প্রমুখ।
ফুলবাড়ি ইউনিয়ন থেকে আফজাল হোসেন, ডিলফা বিবি, মাহমুদুর রহমান, আয়েশা বেগম হোসেন, আনিছা বেগম হোসেন, পারভীন বেগম, সালমা বেগম, ফাহিম আহমদ, মাহিন আহমদ, নাজমিন বেগম, নাইম আহমেদ, নাদিম আহমেদ, তাইবা তাবাচ্ছুম, সুলতানা বেগম, ফারজানা বেগম হোসেন, ফারহিন বেগম, ইসমাইল হোসেন, আশফাক হোসেন প্রমুখ।
লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়ন থেকে মুকিতুর রহমান, রাহিমা ইসলাম, আমিরা ইসলাম, মিকাইল ইসলাম প্রমুখ।
বুধবারীবাজার ইউনিয়ন থেকে মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আমান উদ্দিন, মোহাম্মদ জহির হোসেন গৌছ, জেনিফার সারোয়ার লাক্সমী, বিলাল আহমদ মিলন, বদরুল আলম বাবুল, মোহাম্মদ শামছুল হক, ফয়জুর রহমান সেলিম, শামস উদ্দিন খান, জয়নাল আহমদ খান, দিলারা বেগম, সাইদা ফেরদৌস, মারিয়া ফেরদৌস, আমানা ফেরদৌস, তায়িবা ফেরদৌস, সালেহ আহমদ, পারভীন আক্তার চৌধুরী, ফাহমিদা আক্তার, তওশিফ জিয়া, তানিছা জিয়া, রওশন আরা বেগম, আদিবা মিয়া, তানিশা মিয়া, নাজমা বেগম, মনিশা আহমেদ, নাহিন আহমেদ, সাজনা বেগম, ফারদেন উদ্দিন, ডেনিস উদ্দিন, আমিনা খানম, মাহিশা খানম, আলিশা খানম, নাইম আহমেদ, ফাহিম আহমদ, জিসান আহমেদ, রুহেল আহমদ, সাহেদ আহমদ, জিয়া উদ্দিন, আব্দুল শাহেদ, শাহানারা আহমদ, আলী আহমদ, আলামিন আহমদ, মোহাম্মদ মোশারফ, নাহিমা আলী আক্তার, আম্বিয়া উদ্দিন, নাহিম উদ্দিন, ইমতিয়াজ ইসলাম, আব্দুল শাহিদ প্রমুখ।
ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন থেকে রুহুল আমিন রুহেল, সাজিদা বেগম, আজিজ আমিন, আনিকা আমিন, নিয়াজ আমিন, ঝরনা বেগম, তামিমা আহমেদ, মারিয়াম আহমেদ, আশরাফ হোসেন শফি, দেওয়ান নজরুল ইসলাম, হাসনা ইসলাম, ইউসুফ ইসলাম, সেলিনা আক্তার, নুরান রহমান, সোহান রহমান, নিহান রহমান, জাহানারা বেগম, আমিরা বেগম, হামজা ইসলাম, সামির ইসলাম, ইউসুফ ইসলাম, হাসনা ইসলাম, ফারহান হোসেন, রোকশানা খাতুন, ড্যানিয়েল আহমেদ, রোকশানা পারভীন জোসনা, আব্দুল কাদির, হেলাল আহমদ, রাসেল আহমদ, মুকিতুর রহমান মুকিত, শাহাদাত হোসেন সায়েম, রেদওয়ান হোসেন রেজা, কিশওয়ার এনাম লিটন, রোমানা এনাম, নাইম এনাম, রাহাত এনাম, মুসা এনাম, আব্দুল কাদির, কুলসুমা খানম, আব্দুল মুক্তাদির, শিপন বেগম, মোহাম্মদ ওয়াদুদ, আব্দুল ওয়াহিদ, মোহাম্মদ ময়নুল ইসলাম, ইমরুল হোসেন, আনোয়ার শাহজাহান, নাসরিন শাহজাহান, তানভীর শাহজাহান, সাব্বির শাহজাহান, আফশানা শাহজাহান, তায়্যিবা শাহজাহান প্রমুখ।
ভাদেশ্বর ইউনিয়ন থেকে সৈয়দ মুজিবুল হক আজু, তাহমিবুল ইসলাম রাশিদ, সৈয়দ জাহিন ইসলাম, সৈয়দা জারিফা ইসলাম, এনামুর রহমান এনু প্রমুখ।
পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়ন থেকে মাসুদ আহমদ জুয়েল, শহির উদ্দিন, শিহাব উদ্দিন, হাসনা ভানু, ফেরদৌসী আহমেদ, মুনতাহা আহমেদ, মুস্তাফিদ আহমেদ, আলিমা আহমেদ, আয়েশা আহমেদ, মরিয়ম আহমেদ, আহমেদ আজহার, আহমেদ আফসার, নিলশাদ হোসেন, তাফরিন শিহাব, তাফরিন শিহাব, জামাল উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, তায়িবা জামাল, আশাদ বেগম, রহিমা আক্তার চৌধুরী, লিমা উদ্দিন, আসাদ উদ্দিন, সুলতানা বেগম, নাছির উদ্দিন, নাছমিন উদ্দিন, নাসরিন উদ্দিন প্রমুখ।
উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়ন থেকে মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত, সেলিনা বাছিত, জাওয়াদ বাছিত, রেজওয়ান বাছিত, মোহাম্মদ লোকমান উদ্দিন, ফাতেমা বেগম, মোহাম্মদ আজিজুস সামাদ, ওয়াসিফ আহমদ, আহবাব সামাদ প্রমুখ।
শরিফগঞ্জ ইউনিয়ন থেকে তারেক রহমান ছানু, আব্দুন নুর, মনোয়ারা বেগম, আব্দুন আয়েশা প্রমুখ।
মার্গেট সমুদ্রসৈকতের উদ্দেশে সকাল ১০টায় বাসে করে যাত্রা শুরু হয়। পথে সকালের নাশতার জন্য সার্ভিস স্টেশনে যাত্রাবিরতির পর মূল গন্তব্যে পৌঁছে শুরু হয় আনন্দ-উল্লাস। দেশীয় খেলাধুলার পাশাপাশি গান ও কৌতুক ছিল। এতে পুরুষদের জন্য ছিল ফুটবল, হাঁড়িভাঙ্গা, মোরগ দৌড় ও মার্বেল খেলা। মেয়েদের জন্য ছিল হাঁড়িভাঙ্গা, চামচের ওপর ডিম নিয়ে দৌড় ইত্যাদি। এই সফরে পুরুষের পাশাপাশি নারী ও শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণ ছিল লক্ষণীয়। খেলা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া এ সময় র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হলে বিজয়ীদের বিভিন্ন রকমের পুরস্কার প্রদান করা হয়। র্যাফেল ড্রয়ের প্রথম পুরস্কার বিজয়ী হন কিশওয়ার এনাম লিটন (কানিশাইল, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন)।
মার্গেট সমুদ্রসৈকতে সামার ট্রিপে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, প্রবাসের মাটিতে নিজেদের ঐতিহ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য এ ধরনের অনুষ্ঠানের বিকল্প নেই। তাঁরা সবার মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সৃষ্টির জন্য সামাজিক অনুষ্ঠানাদি বেশি করে করার অনুরোধ করেন। এ সময় সমুদ্র ভ্রমণ সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সংগঠনের সদস্য ও অংশগ্রহণকারী সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানান সংগঠনের আহ্বায়ক ড. রেণু লুৎফা এবং সদস্য সচিব আনোয়ার শাহজাহান। পরে সমুদ্র ভ্রমণের সমাপ্তি ঘোষণার মধ্য দিয়ে লন্ডনের উদ্দেশে সবাই যাত্রা করেন। সমুদ্রসৈকত ভ্রমণে অংশগ্রহণকারী সবাইকে ট্রাস্টের স্যুভেনির (১টি মগ) উপহার দেয়া হয়।
সমুদ্রসৈকত ভ্রমণে মিডিয়া পার্টনার ছিল অনলাইন পোর্টাল আমাদের প্রতিদিন। এ ছাড়া পুরো অনুষ্ঠান লাইভ সম্প্রচার করেন রিয়েল সিলেটের অ্যাডমিন আলী রেজা।
মার্গেট সমুদ্রসৈকতে সামার ট্রিপ ২০১৮ স্পন্সর করে মাশা মডেল টাউন, মাহি অ্যান্ড কোং, ডানটন গ্রিল অ্যান্ড স্পাইস, দ্য রয়েল ব্রিটিশ ভেন্যু, জানা ওয়ার্ল্ড লিমিটেড, তায়িবা ট্যুরস লিমিটেড ও আব্দুল মুতলিব কমপ্লেক্স।
