গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তারা বলেছেন, মাত্র দুই বছরে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ব্রিটেনে যতগুলো পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করেছে তার সবগুলোই প্রশংসিত হয়েছে। আর এগুলো সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র ট্রাস্টের সদস্যদের আন্তরিকতা এবং ঐক্যমতের ফলে।
বক্তারা আরো বলেন, ব্রিটেনে প্রথম উপজেলা ভিত্তিক উৎসবের স্বপ্ন দ্রষ্টা হলো গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট। এছাড়া আমরা প্রথমেই ব্রিটেনে গোলাপগঞ্জ হাউস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিলাতের বুকে আরেকটি ঐতিহ্য প্রতিষ্ঠার ধারক ও বাহক হতে যাচ্ছি। ফলে আজ ব্রিটিনে অনেকগুলো সংগঠন আমাদের কার্যক্রম ও চিন্তাধারা গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে।
গত ৮ ডিসেম্বর রবিবার দুপুর ১ ঘটিকার সময় পূর্ব লন্ডনে অবস্থিত কবি নজরুল প্রাইমারি স্কুলে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তারা আরো বলেন, মাত্র দুই বছরের মধ্যে সংগঠনে ৫০০ শতাধিক সদস্য প্রমাণ করে সংগঠনের প্রতি প্রবাসী গোলাপগঞ্জীদের আস্থা ও ভালোবাসা কতটুকু।
গোলাপগঞ্জসহ ব্রিটেনে অন্য কোন উপজেলার সংগঠন এখন পর্যন্ত দুই বছরে ৫০০ শতাধিক সদস্যের সংগঠনে পরিণত করার রেকর্ড গড়তে পারেনি।
বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত। জেনারেল সেক্রেটারি আনোয়ার শাহজাহানের উপস্থাপনায় সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করেন ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী। পরে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য নাছিম আহমদ সহ সংগঠনের যে সকল সদস্যদের পরিবারের সদস্যরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত এবং শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।
গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল বাছিতের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সভার কার্যক্রম শুরু হয়। পরে জেনারেল সেক্রেটারি আনোয়ার শাহজাহান ট্রাস্টের বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করেন। ট্রেজারার বদরুল আলম বাবুল ট্রাস্টের আমানত এবং বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট ও ইসি কমিটির আয়-ব্যয়ের হিসাব তুলে ধরেন। পরে সেটি সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয়। এ সময় ট্রেজারার বদরুল আলম বাবুল সাধারণ সদস্যদের হালনাগাদ তুলে ধরেন। সাধারণ সভায় এখন পর্যন্ত কিছু সংখ্যক সদস্য সদস্য ফি না দেয়ায় তাদেরকে আরো কিছু সময় প্রদান করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দিতে ব্যর্থ হলে তাদের সদস্যপদ বাতিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আগামী জুন মাসে গোলাপগঞ্জ উৎসবে সদস্যদের পরিচিতি তুলে ধরে একটি সদস্য গাইড প্রকাশেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট এবং ইসি কমিটির যে সকল সদস্য ধারাবাহিক ভাবে বোর্ড এবং ইসি কমিটির সভায় অনুপস্থিত রয়েছেন তাদেরকে কমিটি থেকে অপসারণ করারও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় ট্রাস্টের সদস্যদের সদস্য ফি এবং গোলাপগঞ্জ হাউসের দাতা সদস্যদের ফি দিয়ে ব্রিটেনে একটি ভবন ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পরবর্তীতে এটি বিক্রি করে পূর্ব লন্ডনে গোলাপগঞ্জ হাউস প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সাধারণ সদস্যদের সুবিধার্থে নির্বাচন ডিসেম্বর মাসের পরিবর্তে জুন মাসের প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহে রবিবার অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সাধারণ সভায় চ্যারিটি কমিশন এবং বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সংবিধানের বেশ কয়েকটি ধারা – উপধারা সংশোধন এবং সংযোজন করা হয়।
সাধারণ সভায় ট্রাস্টের সাধারণ সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আব্দুর কাদির হাসনাত, মোঃ নুরুল ইসলাম, আহমদ সওদাগর সায়েক, হাবিবুর রহমান, আব্দুল বাছির, ফেরদৌস আলম, আব্দুল আজিজ ফারুক, রোমান আহমদ চৌধুরী, মোঃ মুহিবুর রহমান মুহিব, মোঃ সেলিম আহমদ, সুলতান হায়দার জসিম, মিকাইল চৌধুরী, আব্দুল বাছিত, মোঃ আলী হোসেন, জামিল আহমদ, সাদেক আহমদ, মাহির আহমদ, মোঃ নামর আলী, ইয়াহিয়া খান, রাসেল আহমদ, ফরহাদ আহমদ, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
সাধারণ সভায় ইসি এবং বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত, রুহুল আমিন রুহেল, আব্দুল হাকিম চৌধুরী, জহির হোসেন গৌছ, আনোয়ার শাহজাহান, বদরুল আলম বাবুল, তারেক রহমান ছানু, সালেহ আহমদ, রায়হান উদ্দিন, শিহাব উদ্দিন, মোঃ মুকিতুর রহমান মুকিত, মোহাম্মদ শামীম আহমদ, মোহাম্মদ আব্দুল মতিন, মোঃ নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ জাকারিয়া, মুহিবুল হক, মো সায়ফুল ইসলাম, রেদওয়ান হোসেন রেজা প্রমুখ।
