গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট (ইউকে) এর ইতিহাস, পরিচিত এবং কার্যক্রম

গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট (ইউকে) এর ইতিহাস, পরিচিত এবং কার্যক্রম

 

২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এক সভায় গোলাপগঞ্জবাসীর মধ্যে পারস্পরিক সেতুবন্ধ, কমিউনিটিতে মেধা ও মননের চর্চা এবং প্রবাসী গোলাপগঞ্জের গুণীজনদের পরিচিতি বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার সংকল্প নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট (ইউকে)।

লেখক ও সাংবাদিক আনোয়ার শাহজাহানের আহ্বানে পূর্ব লন্ডনের ১১০ নম্বর হোয়াইট চ্যাপেলের একটি রেস্টুরেন্টে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ইউকের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন লেখক ও সমাজবিজ্ঞানী ড. রেণু লুৎফা।

আনোয়ার শাহজাহানের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় ড. রেণু লুৎফাকে আহ্বায়ক এবং আনোয়ার শাহজাহানকে সদস্য সচিব করে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সংগঠনের আদর্শ ও উদ্দেশ্যের প্রতি যাঁদের আস্থা ও সমর্থন রয়েছে, তাঁদের নিয়ে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠনের জন্য সদস্য সচিব আনোয়ার শাহজাহানকে সর্বসম্মতিক্রমে দায়িত্ব দেয়া হয়।

গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট (ইউকে) এর প্রতিষ্ঠাকালীন প্রথম সভায় যাঁরা উপস্থিত থেকে সদস্যপদ গ্রহন করেন তাঁরা হলেন-

১। আনোয়ার শাহজাহান, রায়গড়, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
২। রুহুল আমিন রুহেল, দত্তরাইল, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
৩। ডক্টর রেনু লুৎফা, রানাপিং, গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন
৪। ডক্টর আব্দুল আজিজ তকি, রানাপিং ছত্রিশ, গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন
৫। মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত, আলমপুর, বাদেপাশা ইউনিয়ন
৬। মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আমান উদ্দিন, চন্দরপুর, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন
৭। ফারুক চৌধুরী, রনকেলী, গোলাপগঞ্জ পৌরসভা
৮। বদরুল আলম বাবুল, লামা চন্দরপুর, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন
৯। রোমান আহমদ চৌধুরী, ভাদেশ্বর ইউনিয়ন
১০। মোহাম্মদ জহির হোসেন গৌছ, বাগিরঘাট, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন
১১। তারেক রহমান ছানু, পনাইরচক, শরিফগঞ্জ ইউনিয়ন
১২। মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন
১৩। মোহাম্মদ লোকমান উদ্দিন, সতুনমর্দন, বাদেপাশা ইউনিয়ন
১৪। মোহাম্মদ শামীম আহমদ, বারকোট, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
১৫। দেওয়ান নজরুল ইসলাম, রায়গড়, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
১৬। মোহাম্মদ আব্দুল মতিন, নিজ ঢাকাদক্ষিণ, লক্ষনাবন্দ ইউনিয়ন
১৭। শিহাব উদ্দিন, ধারাবহর, পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়ন
১৮। মাহমুদুর রহমান শানুর, কানিশাইল, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
১৯। মোহাম্মদ শওকত আলী, গোলাপনগর, বাঘা ইউনিয়ন
২০। বিলাদুর রহমান কাসেম, আমনিয়া, পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়ন
২১। রফি আহমদ চৌধুরী সিবা, ফুলবাড়ি ইউনিয়ন
২২। মুহিবুর রহমান মুহিব, সরস্বতী কামারগাঁও, গোলাপগঞ্জ পৌরসভা
২৩। সৈয়দ মুজিবুল ইসলাম আজু, নালিউরী, ভাদেশ্বর ইউনিয়ন
২৪। রেজাউল ইসলাম বিল্লাহ, দক্ষিণভাগ, লক্ষিপাশা ইউনিয়ন
২৫। মোহাম্মদ শামীম আহমদ, দাড়িপাতন, গোলাপগঞ্জ পৌরসভা
২৬। হারুনুর রশিদ মুজিব, গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন
২৭। শামছ উদ্দিন খান, কালিজুরী, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন।
২৮। সালেহ আহমদ, লামা চন্দরপুর, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন
২৯। জিল্লুর রহমান, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন।

আনোয়ার শাহজাহান ধারাবাহিক ভাবে সদস্য সংগ্রহ করে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ২৫ মার্চ আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভা আহবান করে ৩৮ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক অনুমোদন করা হয়।

গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ইউকে’র প্রতিষ্ঠাকালীন আহবায়ক কমিটি ছিল নিম্নরূপ:

আহ্বায়ক
১। ডক্টর রেণু লুৎফা, রানাপিং, গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন

সদস্য সচিব
২। আনোয়ার শাহজাহান, রায়গড়, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন

সদস্য
৩। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আমান উদ্দিন, চন্দরপুর, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন
৪। ডক্টর আব্দুল আজিজ তকি, রানাপিং ছত্রিশ, গোলাপগঞ্জ ইউনিয়ন
৫। তছউর আলী, মুকিতলা, লক্ষনাবন্দ ইউনিয়ন
৬। মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন
৭। মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত, আলমপুর, বাদেপাশা ইউনিয়ন
৮। রুহুল আমিন রুহেল, দত্তরাইল, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
৯। মোহাম্মদ লোকমান উদ্দিন, সতুনমর্দন, উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়ন
১০। ফারুক চৌধুরী, রণকেলী, গোলাপগঞ্জ পৌরসভা
১১। হাবিবুর রহমান, মুকিতলা, লক্ষনাবন্দ ইউনিয়ন
১২। আব্দুল হাকিম চৌধুরী, গোলাপগঞ্জ পৌরসভা
১৩। মোহাম্মদ শামীম আহমদ, বারকোট, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
১৪। মোহাম্মদ শওকত আলী, গোলাপনগর, বাঘা ইউনিয়ন
১৫। মাহমুদুর রহমান শানুর, কানিশাইল, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
১৬। রোমান আহমদ চৌধুরী, ভাদেশ্বর ইউনিয়ন
১৭। আব্দুর রহমান খান সুজা, মাইজভাগ, ফুলবাড়ী ইউনিয়ন
১৮। হুমায়ুন কবির চৌধুরী একলিম, গোলাপগঞ্জ পৌরসভা
১৯। দেওয়ান নজরুল ইসলাম, রায়গড়, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
২০। আশরাফ হোসেন শফি, দত্তরাইল, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
২১। শাহরিয়ার আহমদ সুমন, নগর, ঢাকাদক্ষিণ
২২। তারেক রহমান ছানু, পনাইরচক, শরিফগঞ্জ ইউনিয়ন
২৩। বদরুল আলম বাবুল, লামা চন্দরপুর, বুধবারীবাজার
২৪। মোহাম্মদ জহির হোসেন গৌছ, বাগিরঘাট, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন
২৫। শিহাব উদ্দিন, ধারাবহর, পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়ন
২৬। মো শামীম আহমদ, গোলাপগঞ্জ পৌরসভা
২৭। রফি চৌধুরী শিবা, ফুলবাড়ী ইউনিয়ন
২৮। বিলাদুর রহমান কাসেম, আমনিয়া, পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়ন
২৯। সৈয়দ মুজিবুল ইসলাম আজু, ভাদেশ্বর ইউনিয়ন
৩০। মোহাম্মদ আব্দুল মতিন, লক্ষনাবন্দ ইউনিয়ন
৩১। ফয়জুল ইসলাম সেলিম, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন
৩২। হারুনুর রশিদ মুজিব, গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন
৩৩। মুহিবুর রহমান মুহিব, গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন
৩৪। আবুল আজিজ ফারুক, কালিজুরি, লক্ষনাবন্দ ইউনিয়ন
৩৫। সৈয়দ নাদির আহমদ, লক্ষনাবন্দ ইউনিয়ন
৩৬। মুকিতুর রহমান মুকিত, বারকোট, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
৩৭। রেজাউল ইসলাম বিল্লাহ, পইলতাপর, লক্ষিপাশা ইউনিয়ন
৩৮। শামস উদ্দিন খান, কালিজুরি, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন।

২০১৮ সালের ২৫ মার্চ আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভায় কমিটিকে বর্ধিত করার জন্য সদস্য সচিব আনোয়ার শাহজাহানকে পুনরায় দায়িত্ব দেয়া হয়। গোলাপগঞ্জ কমিউনিটিতে যাঁরা উল্লেখ্যযোগ্য অবদান রাখছেন তাঁদের মধ্যে থেকে ১০ জন সদস্যকে আহ্বায়ক কমিটিতে সম্পৃক্ত করে ২০১৮ সালের ৬ মে আহ্বায়ক কমিটির দ্বিতীয় সভায় সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয়।

 

সভায় যাঁদের যাঁদের কো-অপ্ট করে আহ্বায়ক কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয় তাঁরা হলেন:

১। ডা. আনোয়ারা আলী এমবিই, সুনামপুর, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
২। জেনিফার সারোয়ার লাক্সমী, চন্দরপুর, গোলাপগঞ্জ ইউনিয়ন
৩। মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন
৪। বিলাল আহমদ মিলন, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন
৫। মোহাম্মদ আজিজুস সামাদ, উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়ন
৬। হোসেন মোহাম্মদ ইকবাল, ফুলবাড়ী ইউনিয়ন
৭। আসাদ উদ্দিন, পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়ন
৮। সাহাদত হোসেন সায়েম, কানিশাইল, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
৯। মো নাছির উদ্দিন, শরিফগঞ্জ ইউনিয়ন
১০। কামাল উদ্দিন, ধারাবহর, পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়ন

 

 

সংবিধান প্রণয়ন

২০১৮ সালের ২৫ মার্চ রবিবার আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভায় লেখক-সাংবাদিক আনোয়ার শাহজাহান একটি খসড়া সংবিধান উপস্থাপন করেন। সভায় আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা আলাপ-আলোচনার পর এটিকে আরও যুগপোযোগী করার পরামর্শ এবং আরো কিছু সংশোধনের জন্য অনুরোধ করেন। সভায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির সদস্যরা হলেন:
১। ড. আব্দুল আজিজ তকি, গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন
২। ড. রেণু লুৎফা, রানাপিং, গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন
৩। আনোয়ার শাহজাহান, রায়গড়, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন

২০১৮ সালের ৬ মে রবিবার আহ্বায়ক কমিটির দ্বিতীয় সভায় পরামর্শমূলক সংশোধনী নিয়ে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা শেষে সদস্যদের পরামর্শকে গুরুত্ব দিয়ে সংবিধানটি সংশোধন করা হয়। পরে ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার আহ্বায়ক কমিটির তৃতীয় সভায় সংবিধান অনুমোদন করে সাধারণ সভায় অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় একটি যুগোপযোগী আধুনিক সংবিধান প্রণয়নের জন্য ড. আব্দুল আজিজ তকি, ড. রেণু লুৎফা এবং আনোয়ার শাহজাহানকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ইউকের প্রথম সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সংবিধান অনুমোদন করা হয়।

 

প্রতিষ্ঠাতা সদস্য

২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ট্রাস্টের প্রথম ৭০ জন সদস্যকে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়। এটি সংবিধানের ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা হলেন-
১। আনোয়ার শাহজাহান, রায়গড়, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
২। রুহুল আমিন রুহেল, দত্তরাইল, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
৩। ডক্টর রেণু লুৎফা, রানাপিং, গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন
৪। ডক্টর আব্দুল আজিজ তকি, রানাপিং ছত্রিশ, গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন
৫। মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত, আলমপুর, উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়ন
৬। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আমান উদ্দিন, চন্দরপুর, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন
৭। তছউর আলী, মুকিতলা, লক্ষনাবন্দ ইউনিয়ন
৮। ফারুক চৌধুরী, রণকেলী, গোলাপগঞ্জ পৌরসভা
৯। বদরুল আলম বাবুল (লামা চন্দরপুর, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন
১০। রোমান আহমদ চৌধুরী, ভাদেশ্বর ইউনিয়ন
১১। মোহাম্মদ জহির হোসেন গৌছ, বাগিরঘাট, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন
১২। তারেক রহমান ছানু, পনাইরচক, শরিফগঞ্জ ইউনিয়ন
১৩। মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন
১৪। মোহাম্মদ লোকমান উদ্দিন, সতুনমর্দন, উত্তর বাদেপাশা
১৫। মোহাম্মদ শামীম আহমদ, বারকোট, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
১৬। আব্দুল হাকিম চৌধুরী, গোলাপগঞ্জ পৌরসভা
১৭। শাহরিয়ার আহমদ সুমন, নগর, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
১৮। দেওয়ান নজরুল ইসলাম, রায়গড়, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
১৯। মোহাম্মদ আব্দুল মতিন, লক্ষনাবন্দ ইউনিয়ন
২০। শিহাব উদ্দিন, ধারাবহর, পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়ন
২১। হাবিবুর রহমান, মুকিতলা, লক্ষনাবন্দ ইউনিয়ন
২২। মাহমুদুর রহমান শানুর, কানিশাইল, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
২৩। আব্দুর রহমান খান সুজা, মাইজভাগ, ফুলবাড়ী ইউনিয়ন
২৪। সৈয়দ নাদির আহমদ, লক্ষনাবন্দ ইউনিয়ন
২৫। হুমায়ুন কবির চৌধুরী একলিম, গোলাপগঞ্জ পৌরসভা
২৬। মোহাম্মদ শওকত আলী, গোলাপনগর, বাঘা ইউনিয়ন
২৭। মুকিতুর রহমান মুকিত, বারকোট, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
২৮। আশরাফ হোসেন শফি, দত্তরাইল, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
২৯। বিলাদুর রহমান কাসেম, আমনিয়া, পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়ন
৩০। রফি চৌধুরী শিবা, ফুলবাড়ী ইউনিয়ন
৩১। মুহিবুর রহমান মুহিব, গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন
৩২। ফয়জুল ইসলাম সেলিম, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন
৩৩। সৈয়দ মুজিবুল ইসলাম আজু, ভাদেশ্বর ইউনিয়ন
৩৪। আবুল আজিজ ফারুক, কালিজুরি, লক্ষনাবন্দ ইউনিয়ন
৩৫। রেজাউল ইসলাম বিল্লাহ, পইলতাপর, লক্ষিপাশা ইউনিয়ন
৩৬। মো শামীম আহমদ, গোলাপগঞ্জ পৌরসভা
৩৭। হারুনুর রশিদ মুজিব, গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন
৩৮। শামস উদ্দিন খান, কালিজুরি, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন
৩৯। রুহুল কুদ্দুস জুনেদ, দত্তরাইল, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
৪০। তানভীর শাহজাহান, রায়গড়, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
৪১। রাসেল আহমদ, দত্তরাইল, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
৪২। নাসরিন শাহজাহান, রায়গড়, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
৪৩। ফারুক আহমদ, গোয়াসপুর, গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন
৪৪। সালেহ আহমদ, লামা চন্দরপুর, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন
৪৫। জেনিফার সারোয়ার লাক্সমী, চন্দরপুর, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন
৪৬। সালেহ আহমদ খান এমবিই, ফুলসাইন্দ, লক্ষনাবন্দ ইউনিয়ন
৪৭। আনোয়ার মুরাদ, রায়গড়, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
৪৮। মুহিবুল হক, পনাইরচক, শরিফগঞ্জ ইউনিয়ন
৪৯। ডা. আনোয়ারা আলী এমবিই, সুনামপুর, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
৫০। খালেদ আহমদ, পইলতাপর, লক্ষিপাশা ইউনিয়ন
৫১। ফরহাদ আহমদ (রেদওয়ান), রায়গড়, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
৫২। আনোয়ারুল হক রাহাদ, রায়গড়, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
৫৩। সায়াদত হোসেন সায়েম, কানিশাইল, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
৫৪। তাহের চৌধুরী কুটুল, ইস্ট ভাদেশ্বর, ভাদেশ্বর ইউনিয়ন
৫৫। সৈয়দ সাইফুল ইসলাম লিটু, ভাদেশ্বর ইউনিয়ন
৫৬। সুরাব আলী, কালিজুরি, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন
৫৭। খালেদ আজিম উদ্দিন জামাল, দত্তরাইল, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
৫৮। জসিম উদ্দিন আহমদ, রায়গড়, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
৫৯। আক্তার হোসেন, আলমপুর, উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়ন
৬০। মো নাছির উদ্দিন, মেহেরপুর, শরিফগঞ্জ ইউনিয়ন
৬১। ফয়ছল আহমদ, দাড়িপাতন, গোলাপগঞ্জ পৌরসভা
৬২। আব্দুল কাদির, রায়গড়, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
৬৩। আতিকুর রহমান সাফার, নালাউরি, ভাদেশ্বর ইউনিয়ন
৬৪। জিল্লুর রহমান, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন
৬৫। হাসান আহমদ, উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়ন
৬৬। শাহাজান সিরাজ দারা, সাউথ ভাদেশ্বর, ভাদেশ্বর ইউনিয়ন
৬৭। শিব্বির আহমদ, লামা চন্দরপুর, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন
৬৮। মোকাদ্দেম আহমদ চৌধুরী, বারকোট, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
৬৯। রায়হান উদ্দিন, নগর, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন
৭০। সাজিদা বেগম, দত্তরাইল, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন

 

প্রথম সাধারণ সভা
২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর ট্রাস্টের প্রথম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ট্রাস্টের সংবিধান এবং প্রথম বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট কমিটি অনুমোদন করা হয়। সাধারণ সভায় ট্রাস্টের আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য রুহুল আমিন রুহেল গোলাপগঞ্জ ট্রাস্ট (ইউকে)’র নাম আংশিক পরিবর্তন করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট (ইউকে) রাখার প্রস্তাব করলে সদস্য বদরুল আলম বাবুল তা সমর্থন করেন। পরে কন্ঠ ভোটের মাধ্যমে প্রস্তাবটি পাস হয়।

 

প্রথম নির্বাচন
২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ইউকে’র প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন –

প্রধান নির্বাচন কমিশনার
ডক্টর রেণু লুৎফা, গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন

নির্বাচন কমিশনার
মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন
মোহাম্মদ লোকমান উদ্দিন, উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়ন

২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর প্রথম নির্বাচনে ৪১ জন বোর্ড মেম্বার নির্বাচিত হন।

পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভায় ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান, জেনারেল সেক্রেটারি এবং ট্রেজারার নির্বাচিত হোন –

চেয়ারম্যান : মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত
জেনারেল সেক্রেটারি : আনোয়ার শাহজাহান
ট্রেজারার : বদরুল আলম বাবুল।

ঐদিন সোশ্যাল ট্রাস্টের ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্য ছিলেন –
১। ডক্টর রেণু লুৎফা
২। ডক্টর আব্দুল আজিজ তকি
৩। নাজিম উদ্দিন আহমদ মাস্টার
৪। তছউর আলী
৫। চৌধুরী বকতিয়ার এহিয়া
৬। আব্দুল কাদির হাসনাত এবং
৭। আতাউর রহমান আঙ্গুর মিয়া

 

দ্বিতীয় নির্বাচন

গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ইউকে’র দ্বিতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০২১ সালের ৮ আগষ্ট। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন –

প্রধান নির্বাচন কমিশনার
১। ডক্টর আব্দুল আজিজ তকি, গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন

নির্বাচন কমিশনার
১। নাজিম উদ্দিন আহমদ, উত্তর বাদেপাশা
২। এনাম উদ্দিন আহমদ, বুধবারীবাজার

নির্বাচনে ২৬ সদস্য বিশিষ্ট বোর্ড মেম্বার নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৫ জনকে বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট কমিটিতে কো-অপ্ট করা হয়। ঐদিন বোর্ড সভায় ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। সভ

কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান, জেনারেল সেক্রেটারি এবং ট্রেজারার নির্বাচিত হোন –

চেয়ারম্যান: মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত
জেনারেল সেক্রেটারি: আনোয়ার শাহজাহান
ট্রেজারার: বদরুল আলম বাবুল।

 

সভায় ৭ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়। যাঁরা নির্বাচিত হন তাঁরা হলেন-

১। ডক্টর রেণু লুৎফা, গোলাপগঞ্জ সদর
২। ডক্টর আব্দুল আজিজ তকি, গোলাপগঞ্জ সদর
৩। নাজিম উদ্দিন আহমদ, উত্তর বাদেপাশা
৪। মতিউর রহমান মতিন, শরিফগঞ্জ
৫। আব্দুল কাদির হাসনাত, বুধবারীবাজার
৬। মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন নজরু, ঢাকাদক্ষিণ
৭। আবজল হোসেন, ঢাকাদক্ষিণ

 

২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভায় সংবিধানের ডি/৪ ধারা মোতাবেক গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত এবং আনোয়ার শাহজাহানকে অনারারী লাইফ মেম্বার হিসেবে সম্মানিত করা হয়।

 

তৃতীয় নির্বাচন

গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ইউকে’র তৃতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০২৩ সালের ৪ জুন। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করেন-

প্রধান নির্বাচন কমিশনার
ডক্টর আব্দুল আজিজ তকি, গোলাপগঞ্জ সদর

 নির্বাচন কমিশনার
শামীম আহমদ, নগর, ঢাকাদক্ষিণ
নাজিম উদ্দিন মাস্টার, উত্তর বাদেপাশা

 

২০২৩ সালের ৪ জুন নির্বাচনে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট বোর্ড মেম্বার নির্বাচিত হন। ঐদিন বোর্ড সভায় কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়।

কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান, জেনারেল সেক্রেটারি এবং ট্রেজারার নির্বাচিত হোন –

চেয়ারম্যান: মোহাম্মদ আনোয়ার শাহজাহান
জেনারেল সেক্রেটারি: তারিখ রহমান ছানু
ট্রেজারার: সাইফুল ইসলাম

 

পরবর্তীতে ২৩ জুন বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভায় ৫ সদস্যকে কো-অপ্ট করা হয়। ঐ সভায় ৭ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্য হলেন –

১। ডক্টর আব্দুল আজিজ তকি, রাণাপিং, গোলাপগঞ্জ সদর
২। নাজিম উদ্দিন আহমদ, উত্তর বাদেপাশা
৩। শামীম আহমদ, নগর, ঢাকাদক্ষিণ
৪। মতিউর রহমান মতিন, শরিফগঞ্জ
৫। মুজিবুর রহমান মুজিব, কালাজুরি, বুধবারীবাজার।

 

 

 

গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের সংক্ষিপ্ত কার্যক্রম

২০১৮ সাল

 

সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ

ব্রিটেনে গোলাপগঞ্জবাসীদের নিয়ে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হয় সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ। ২০১৮ সালের ৮ জুলাই পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্ক হতে ৬টি কোচের বহর নিয়ে আড়াই শতাধিক সদস্যদের অংশগ্রহণে মার্গেট সমুদ্র সৈকত পরিণত হয় এক খণ্ড গোলাপগঞ্জ। এতে বাংলাদেশ থেকে এসে যোগ দেন বাংলাদেশ রাইফেলস (বর্তমানে বিজিবি) এর সাবেক মহাপরিচালক, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাপগঞ্জের কৃতীসন্তান মেজর জেনারেল (অব) মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বীর উত্তম। এছাড়া গোলাপগঞ্জের কমিউনিটির বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ডক্টর রেণু লুৎফা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমান উদ্দিন, মোহাম্মদ লোকমান উদ্দিন, ফারুক আহমদ, রুহুল আমিন রুহেল, আনোয়ার শাহজাহান, মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত, মোহাম্মদ জহির হোসেন গৌছ, আশরাফ হোসেন শফি, সায়াদ আহমদ সাদ, সৈয়দ মুজিবুল ইসলাম আজু, বদরুল আলম বাবুল, বিলাল আহমদ মিলন, ফয়জুর রহমান সেলিম, মাসুদ আহমদ জুয়েল, তারেক রহমান ছানু, শিহাব উদ্দিন, জেনিফার সারোয়ার লাক্সমী, মুকিতুর রহমান মুকিত প্রমুখ।

 

ব্রিটিশ হাউস অব পার্লামেন্টে শিক্ষা সফর

২০১৮ সালের ১৭ জুলাই গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের নারী সদস্যদের নিয়ে ব্রিটিশ হাউস অব পার্লামেন্টে শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হয়। ট্রাস্টের আহ্বায়ক ডক্টর রেণু লুৎফার নেতৃত্বে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট নারী সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেনিফার সারোয়ার লাক্সমী, সেলিনা বাছিত, নাসরিন শাহজাহান, পারভীন আক্তার, রাহিমা ইসলাম প্রমুখ। উল্লেখ্য গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ইউকে প্রতিষ্ঠার অন্যতম কারণ ছিল ব্রিটেনে বসবাসরত গোলাপগঞ্জের নারী ও শিশুদের কমিউনিটির কর্মকান্ডে বেশি করে সম্পৃক্ত করা। এরই অংশ ছিল ব্রিটিশ হাউস অব পার্লামেন্টে ট্রাস্টের নারী সদস্যদের শিক্ষা সফর।

 

ব্রিটিশ হাউস অব পার্লামেন্ট এবং হাউস অব লর্ডসে শিক্ষা সফর

২০১৮ সালের ১৫ অক্টোবর গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ইউকের সাধারণ সদস্যদের নিয়ে ব্রিটিশ হাউস অব পার্লামেন্ট এবং হাউস অব লর্ডসে শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হয়। ঐ দিন হাউস অব পার্লামেন্ট এবং হাউস অব লর্ডস এর গাইড মি. জন গিলান ট্রাস্টের সদস্যদের বিভিন্ন স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী উপস্থাপন করেন। ট্রাস্টের প্রতিনিধিদল ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করে আনন্দ লাভের পাশাপাশি বিভিন্ন অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। ২৫ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব ছিলেন ট্রাস্টের আহ্বায়ক ড. রেণু লুৎফা এবং সদস্য সচিব আনোয়ার শাহজাহান। ঐ সময় আরো ছিলেন আব্দুল হাকিম চৌধুরী, মাওলানা শওকত আলী, মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত, মোহাম্মদ জহির হোসেন গৌছ, মোহাম্মদ লোকমান উদ্দিন, জেনিফার সারোয়ার লাক্সমী, রুহুল কুদ্দুস জুনেদ, ফয়জুল ইসলাম সেলিম, আব্দুর বারী নাছির, বদরুল আলম বাবুল, তারেক রহমান ছানু, শিহাব উদ্দিন, মাসুদ আহমদ জুয়েল, সালেহ আহমদ, সাহাদাত হোসেন সায়েম, মোহাম্মদ মুকিতুর রহমান প্রমুখ।

 

২০১৯ সাল

সুপ্রিম কোর্টে শিক্ষা সফর

২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের সদস্য এবং ট্রাস্টের শুভাকাক্ষিদের নিয়ে ব্রিটেনের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হয়। ডক্টর রেণু লুৎফা এবং আনোয়ার শাহজাহানের নেতৃত্বে শিক্ষা সফরে অংশগ্রহণ করেন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি জেনিফার সারোয়ার লাক্সমী, কালচারাল সেক্রেটারি রায়হান উদ্দিন, স্পোর্টস সেক্রেটারি মোহাম্মদ মুকিতুর রহমান, ইসি মেম্বার মাহমুদুর রহমান, বোর্ড মেম্বার মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম প্রমুখ।

 

ট্রাস্ট পরিচালনা বিষয়ক সেমিনার

২০১৮ সালের ১৭ মার্চ পূর্ব লন্ডনের কবি নজরুল প্রাইমারি স্কুলে ট্রাস্টের বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যদের দায়িত্ব ও ট্রাস্ট পরিচালনার জন্য ট্রাস্টের উপদেষ্টা ডক্টর আব্দুল আজিজ তকি এবং জেনারেল সেক্রেটারি আনোয়ার শাহজাহানের পরিচালনায় একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে ট্রাস্ট পরিচালনা বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিভিন্ন তথ্য প্রদান করা হয়।

 

পিঠা উৎসব

২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পূর্ব লন্ডনের কবি নজরুল প্রাইমারি স্কুলে পিঠা উৎসব এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ট্রাস্টের সদস্য ছাড়াও কমিউনিটির লোকজন উপস্থিত ছিলেন। গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের আয়োজনে বাংলাদেশের গ্রাম-বাংলার সংস্কৃতির ধারক এ পিঠা উৎসবটি পরিণত হয় বাঙালির মিলনমেলায়। উচ্চারিত হয় বাঙালি সংস্কৃতির জয় গান। ব্রিটেনে জন্ম নেওয়া ও বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের কাছে বাঙালি সংস্কৃতিকে তুলে ধরাই ছিল এ পিঠা উৎসবের অন্যতম লক্ষ্য।

অনুষ্ঠানের শুরুতে আয়োজকদের পক্ষ থেকে সবাইকে স্বাগত জানান ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত ও জেনারেল সেক্রেটারি আনোয়ার শাহজাহান। অনুষ্ঠানমালায় ছিল আলোচনা সভা, গান, কবিতা, পুঁথি পাঠ, কৌতুক, মনোজ্ঞ পরিবেশনাসহ নানা কর্মসূচি। হাসি উচ্ছ্বাস, শুভেচ্ছা, অভিনন্দন এসবের মধ্য দিয়ে চমৎকার এই আয়োজনে বাঙালি সংস্কৃতির জয়গান প্রতিধ্বনিত হয়।

ব্রিটেনের বাঙালি অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডনে ১৭ ফেব্রুয়ারি, রোববার অনুষ্ঠিত হয়েছে জমজমাট পিঠা উৎসব ও বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের আয়োজনে বাংলাদেশের গ্রাম-বাংলার সংস্কৃতির ধারক এ পিঠা উৎসবটি পরিণত হয় বাঙালির মিলনমেলায়। উচ্চারিত হয় বাঙালি সংস্কৃতির জয় গান। ব্রিটেনে জন্ম নেওয়া ও বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের কাছে বাঙালি সংস্কৃতিকে তুলে ধরাই ছিল এ পিঠা উৎসবের অন্যতম লক্ষ্য।

অনুষ্ঠানের শুরুতে আয়োজকদের পক্ষ থেকে সবাইকে স্বাগত জানান ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত ও জেনারেল সেক্রেটারি আনোয়ার শাহজাহান।

অনুষ্ঠানমালায় ছিল আলোচনা সভা, গান, কবিতা, পুঁথি পাঠ, কৌতুক, মনোজ্ঞ পরিবেশনাসহ নানা কর্মসূচি। হাসি উচ্ছ্বাস, শুভেচ্ছা, অভিনন্দন এসবের মধ্য দিয়ে চমৎকার এই আয়োজনে বাঙালি সংস্কৃতির জয়গান প্রতিধ্বনিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও আপ্লুত করে তোলে। পিঠা উৎসবে গোলাপগঞ্জ এলাকার লোকজন ছাড়াও বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি কমিউনিটির লোকজন উপস্থিত ছিলেন। মূলত দেশি সংস্কৃতি দূর পরবাসে প্রবাসীদের কাছে পরিচয় করে দেওয়া এবং যান্ত্রিক ব্যস্ততার মাঝে একটু ভিন্নতা ফিরিয়ে আনতে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এ ধরনের আয়োজন প্রবাসে জন্ম নেওয়া ও বেড়ে ওঠা আমাদের নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের কৃষ্টি-কালচারের সঙ্গে পরিচিত করার বড় সুযোগ তৈরি করে দেয়। সেই সঙ্গে এ ধরনের অনুষ্ঠান নতুন প্রজন্মকে শেকড়ের সন্ধান দেবে।

অনুষ্ঠানে গান, পুঁথি পাঠ, কবিতা আবৃত্তির পাশাপাশি বক্তব্য রাখেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের সাবেক আহবায়ক ও বর্তমান উপদেষ্টা ড. রেণু লুৎফা, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও চ্যানেল এস এর চীফ রিপোর্টার মোহাম্মদ জুবায়ের, ট্রাস্টের উপদেষ্টা কাউন্সিলর ড. আব্দুল আজিজ তকি, ভাইস চেয়ারম্যান রুহুল আমিন রুহেল ও জহির হোসেন গৌছ, গোলাপগঞ্জ উপজেলা এডুকেশন ট্রাস্টের সহ-সভাপতি হারুন মিয়া ও মাইজ উদ্দিন, সোশ্যাল ট্রাস্টের ট্রেজারার বদরুল আলম বাবুল, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি জেনিফার সারোয়ার লাক্সমী, কালচারাল সেক্রেটারি রায়হান উদ্দিন, স্পোর্টস সেক্রেটারি মুকিতুর রহমান মুকিত, এডুকেশন সেক্রেটারি মো নাছির উদ্দিন, জয়েন্ট ট্রেজারার হাসান আহমেদ, ইসি মেম্বার দেওয়ান নজরুল ইসলাম, সদস্য রওশন জাহান, শাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এডভোকেট শাকী শাহ ফরিদী, ডেইলি ইউকে বাংলা ডটকম পোর্টালের সম্পাদক আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদ, গোলাপগঞ্জ হেল্পিং হ্যান্ডস ইউএসএর সাধারণ সম্পাদক শাহীদুর রহমান চৌধুরী জাবেদ প্রমুখ।

 

গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্টেডিয়ামে অনুদান

২০১৯ সালের ১৫ মার্চ গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্টেডিয়াম, ধারাবহর এর উন্নয়নের জন্য ১লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়। ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি আনোয়ার শাহজাহান উপস্থিত থেকে এলাকাবাসীর হাতে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন। এসময় স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মইন উদ্দিন, আব্দুল মুতলিব ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান আনোয়ার আলমগীর, নাজমুল হক লস্কর, আনোয়ার হুমায়ুন, আব্দুল খালিক, আজমির আহমদ রাসেল প্রমুখ।

 

 

প্যারেন্টস কনফারেন্স

লন্ডনে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণ প্রজন্ম জড়িয়ে পড়ছে গ্যাং ক্রাইম, মাদক ব্যবসা, খুনসহ নানা অপরাধে। ইদানীং এসব অপরাধের মাত্রা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। এসব অপরাধে তরুণদের জড়িয়ে পড়ার পেছনে পরিবারের অসচেতনতা ও সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়কেই এর মূল কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে তরুণদের এ পথ থেকে সরাতে মা-বাবাসহ সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ইউকে আয়োজন করে প্যারেন্টস কনফারেন্স।

২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল পূর্ব লন্ডনের কবি নজরুল প্রাইমারি স্কুলে প্যারেন্টস কনফারেন্স- এর আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন সমাজ বিজ্ঞানী ডক্টর রেণু লুৎফা এবং সোশ্যাল সার্ভিস বিশেষজ্ঞ দিনার হোসেন। প্রবন্ধ পাঠ করেন লেখক ও সাংবাদিক আনোয়ার শাহজাহান।

“ছেলে-মেয়েদের মানুষ করার দায়িত্ব মা-বাবা দুজনের। পারিবারিক নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি কী করে অপরাধ থেকে তাদের সরিয়ে রাখা যায়, সে বিষয়ে আমাদের কমিউনিটিকে আরো সচেতন হতে হবে।” কথা গুলো বলেছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট আয়োজিত প্যারেন্টস কনফারেন্সে উপস্থিত অভিভাবকেরা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আমান উদ্দিন, মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত, রুহুল আমিন রুহেল, মোহাম্মদ জহির হোসেন গৌছ, মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল, দেওয়ান নজরুল ইসলাম, আব্দুল বাছির, বদরুল আলম বাবুল, রায়হান উদ্দিন, তারেক রহমান ছানু, শিহাব উদ্দিন, সালেহ আহমদ, শাহিন আহমদ, মুহিবুল হক, শাহাদাত হোসেন সায়েম, জি এম অপু সাহরিয়া, কয়েস আহমদ রুহেল, শাহাদাত হোসেন সায়েম, রোকশানা পারভীন জোসনা, কিশওয়ার আনাম লিটন, পারভিন আক্তার চৌধুরী, রুহেলা হোসেন, রওশন আরা বেগম প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত ও জেনারেল সেক্রেটারি আনোয়ার শাহজাহান।

 

বার্মিংহামে সুধী সমাবেশ

২০১৯ সালের ১০ জুন মিডল্যান্ড এলাকায় বসবাসরত গোলাপগঞ্জ উপজেলার নাগরিকদের নিয়ে এক সুধী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ইউকে। বার্মিংহামের ৫০২ নম্বর কভেন্টি রোডস্থ পঞ্চখানা রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সভায় বার্মিংহাম, কভেন্টিং, মিডল্যান্ড, লেস্টার থেকে প্রচুর সংখ্যক গোলাপগঞ্জবাসী উপস্থিত ছিলেন।

গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের সদস্য মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান হাফিজের সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী সদস্য সৈয়দ নাদির আহমদের পরিচালনায় সভার শুরুতে পবিত্র কোরঅ্যান থেকে তেলাওয়াত করেন কবির আহমদ বাদশা। সভার শুরুতে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট গঠনের প্রয়োজনীয়তা, লক্ষ্য, আদর্শ-উদ্দেশ্য এবং সকল কার্যক্রম তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি লেখক ও সাংবাদিক আনোয়ার শাহজাহান। তিনি ব্রিটেনে গোলাপগঞ্জবাসীকে একই ছাদের নীচে এনে একটি ঐক্যবদ্ধ প্লার্টফরম তৈরী করে নিজেদের ভাবমূর্তি বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

সভায় গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত ব্রিটেনে গোলাপগঞ্জ হাউস কেনার যুক্তিকথা তুলে ধরেন সবাইকে সোশ্যাল ট্রাস্টের সদস্যের পাশাপাশি গোলাপগঞ্জ হাউসেরও সদস্যপদ গ্রহণের অনুরোধ করেন। তিনি ব্রিটেনে গোলাপগঞ্জের ভাবমূর্তি তৈরি করতে দ্বিধা-দ্বন্দ ভুলে সবাইকে একহয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। এসময় গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের নেতৃবৃন্দদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান রুহুল আমিন রুহেল, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জহির হোসেন গৌছ, গোলাপগঞ্জ উৎসব উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল বাছির, সোশ্যাল ট্রাস্টের ট্রেজারার বদরুল আলম বাবুল, কালচারাল সেক্রেটারি রায়হান উদ্দিন, মেম্বারশিপ সেক্রেটারি সালেহ আহমদ, প্রেস এন্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারি শিয়াব উদ্দিন, সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহমুদুর রহমান শানুর, বোর্ড মেম্বার মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, সদস্য জাকির হোসেন, সাদেক আহমদ এবং কবির আহমদ বাদশা প্রমুখ।

সভায় বার্মিংহাম, লেষ্টার, কভেন্টি এলাকায় বসবাসরত গোলাপগঞ্জ এলাকার বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা অতি অল্প সময়ে সোশ্যাল ট্রাস্ট প্রবাসী গোলাপগঞ্জবাসীদের কাছে আস্থা এবং জনপ্রিয় একটি সংগঠনে পরিণত হওয়ার জন্য বর্তমান কমিটি এবং সকল সদস্যদের ধন্যবাদ জানান। ভবিষ্যতে সোশ্যাল ট্রাস্টের সকল কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থেকে সব ধরনের সাহায্য ও সহযোগিতার করার আশ্বাস দিয়ে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, এনামুল হক নেপা, মসুদ মিয়া, আবু তাহের মোহাম্মদ হোসেন, আলমগীর চৌধুরী, ওয়েছ আহমদ, বুলবুল চৌধুরী, সৈয়দ নাদির আহমদ, জামাল উদ্দিন, মোকাদ্দেম আহমেদ চৌধুরী, মোমিনুল হক চৌধুরী, তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী, মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ, ট্রাস্টি মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফরহাদ আহমদ, কাজী মোহাম্মদ মিজান, নুরুল ইসলাম সেলিম, মাসুম আহমেদ, সায়েদুল ইসলাম রুহেল, আজিজুর রহমান, কামাল আহমদ ময়নু, ইফতেখার আহমদ চৌধুরী জামিল প্রমুখ। সভায় বিপুল সংখ্যক সংখ্যক গোলাপগঞ্জবাসী সোশ্যাল ট্রাস্টের সদস্যপদ গ্রহন করেন।

 

গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০১৯

গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্টেডিয়ামের বর্তমান নাম শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নে অবস্থিত এই স্টেডিয়াম দীর্ঘদিন স্থবির থাকার পর প্রাণ ফিরে পায় খেলোয়াড়দের পদচারণে। বিকেল হলেই যুবসমাজ ব্যাট-বল হাতে ছুটে চলে স্টেডিয়ামে। ২০১৯ সালের ২ এপ্রিল গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের (ইউকে) উদ্যোগে উদ্বোধন করা হয় উপজেলাভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। এতে শুধু গোলাপগঞ্জের নয় অন্যান্য উপজেলার খেলোওয়াড়েরাও অংশ নেন।

আমুড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড ধারাবহরে টিলাবেষ্টিত এই স্টেডিয়াম বাস্তবায়নে দেশ-বিদেশে চলে মানববন্ধন, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি। দীর্ঘদিন আন্দোলনের ফলে টনক নড়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। সম্প্রতি উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রহমান পরিদর্শন করে স্টেডিয়াম বাস্তবায়নের প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি ‘শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম’ নামকরণ করে সীমানা নির্ধারণ করেন এবং দ্রুত মাঠের ড্রেসিং করারও ঘোষণা দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের এই প্রদক্ষেপকে ধন্যবাদ জানিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়ায় গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ইউকের সদস্যরা। মাঠের ড্রেসিং কাজের জন্য প্রাথমিকভাবে লক্ষাধিক টাকার অনুদান প্রদান করেন তাঁরা।

মাঠের উন্নয়ন কাজ শেষ হলে উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। ৫ এপ্রিল শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়। টুর্নামেন্টে ১৬টি দল অংশগ্রহণ করে। খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয় ধারাবহর সূর্যদয় তরুণ সংঘ এবং রানার্সআপ হয় ইলেভেন স্টার ক্রিকেট একাদশ। খেলাটি পরিচালনা করেন আজমির আহমদ রাসেল সহ অন্যান্যরা।

 

গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ক্রিকেট টুর্নামেন্টে যে সকল টিম অংশগ্রহণ করে তারা হল-

১। ধারাবহর সূর্যদয় তরুণ সংঘ
২। কদমরসুল প্রগতি সংঘ ক্রিকেট ক্লাব
৩। উত্তর ধারাবহর সুপার স্টার
৪। শিলঘাট ইয়ং ষ্টার
৫। বন্ধন স্পোটিং পশ্চিম ধারাবহর
৬। বারকোট ফুটন্ত গোলাপ ক্রিকেট একাদশ
৭। ইলেভেন ষ্টার একমাইল
৮। উত্তর বারকোট ক্রিকেট একাদশ
৯। দুরন্ত ধারাবহর ক্রিকেট একাদশ
১০। আমনিয়া স্পোটিং ক্লাব
১১। জুনিয়র টিম ধারাবহর
১২। দত্তরাইল লালমাটি ক্রিকেট একাদশ
১৩। আমুড়া ফ্রেন্ড স্টাপ ক্রিকেট একাদশ
১৪। নয়াপাড়া ক্রিকেট একাদশ
১৫। এট্যাকিং ফ্রেন্ডস স্টাপ ঢাকাদক্ষিণ
১৬। আমনিয়া বাইকিংস।

 

গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ক্রিকেট টুর্নামেন্ট যাঁদের সৌজন্যে অনুষ্ঠিত হয় তারা হলেন –

১। মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত, চেয়ারম্যান (বাদেপাশা ইউনিয়ন)
২। আনোয়ার শাহজাহান, জেনারেল সেক্রেটারি (রায়গড়, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন),
৩। রুহুল আমিন রুহেল, ভাইস চেয়ারম্যান (দত্তরাইল, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন)
৪। মোহাম্মদ জহির হোসেন গৌছ, ভাইস চেয়ারম্যান (বাগিরঘাট, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন)
৫। আব্দুল কাদির হাসনাত, ট্রাস্টি, (বুধবারীবাজার ইউনিয়ন)
৬। হারুন মিয়া, ট্রাস্টি (লামা চন্দরপুর, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন)
৭। বদরুল আলম বাবুল, ট্রেজারার (লামা চন্দরপুর, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন)
৮। তারেক রহমান ছানু, এসিস্ট্যান্ট জেনারেল সেক্রেটারি (শরিফগঞ্জ ইউনিয়ন)
৯। শিহাব উদ্দিন, প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারি (ধারাবহর, আমুড়া ইউনিয়ন)
১০। সালেহ আহমদ, মেম্বারশিপ সেক্রেটারি (লামা চন্দরপুর, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন)।

 

গোলাপগঞ্জ উপজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট

২০১৯ সালের ৭ জুলাই পূর্ব লন্ডনের মাইল অ্যান্ড স্টেডিয়ামে ব্রিটেনে প্রথমবারের মত গোলাপগঞ্জ উপজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট- এর আয়োজন করা হয়। টুর্নামেন্টে গোলাপগঞ্জ উপজেলার সকল ইউনিয়ন এবং পৌরসভা অংশগ্রহণ করে।

গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ইউকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল বাছিতের সভাপতিত্বে এবং জেনারেল সেক্রেটারি আনোয়ার শাহজাহানের পরিচালনায় টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ডেপুটি স্পিকার কাউন্সিলর আহবাব হোসেন।

এতে গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন রানার্সআপ, শরিফগঞ্জ ইউনিয়ন তৃতীয় স্থান এবং গোলাপগঞ্জ পৌরসভা চতুর্থ স্থান অর্জন করে। গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ম্যানেজার ছিলেন মোহাম্মদ জাকারিয়া ও মুফিজুর রহমান চৌধুরী একলিল এবং ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন ম্যানেজার রায়হান উদ্দিন, শরিফগঞ্জ ইউনিয়নের ম্যানেজার মো: নাছির উদ্দিন ও কামরুজ্জামান সাজু এবং গোলাপগঞ্জ পৌরসভার ম্যানেজার ছিলেন জি এম অপু শাহরিয়া ও শাব্বির আহমদ সাহেদ।
টুর্নামেন্টে স্পোর্টস সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মো মুকিতুর রহমান মুকিত।

 

প্রথম গোলাপগঞ্জ উৎসব

২০১৯ সালে ২৮ জুলাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত গোলাপগঞ্জের অধিবাসীদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পেশাগত সাফল্য তুলে ধরতে সারা বিশ্বে প্রথমবারের মত ‘গোলাপগঞ্জ উৎসব’ এর আয়োজন করা হয়। উৎসবে যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, আমেরিকা ও কানাডা থেকে গোলাপগঞ্জিরা অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য গোলাপগঞ্জ উৎসব ছিল ব্রিটেনে প্রথম কোন উপজেলাবাসীর প্রথম উৎসব।

ব্রিটেনে গোলাপগঞ্জবাসীর প্রথম উৎসব গোলাপগঞ্জ উৎসব সাফল্য কামনা করে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিলেন, মিনিস্টার ফর হাউসিং, কমিউনিটি এন্ড লকেল গভর্নমেন্ট এর সেক্রেটারি লর্ড ব্রাউন, বাংলাদেশ হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম, লন্ডন বারা অব টাওয়ার হ্যামলেটস এর নির্বাহী মেয়র জন বিগস, গোলাপগঞ্জ- বিয়ানীবাজার নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি সহ ব্রিটেন এবং বাংলাদেশের বিশিষ্টজনেরা। উৎসবে যোগ দিতে ইউরোপ, আমেরিকা, এমন কি বাংলাদেশ থেকেও এসেছিলেন আনন্দপিপাসু গোলাপগঞ্জের মানুষ। দীর্ঘদিন পর পরিচিত বন্ধুবান্ধব একে অপরের সাক্ষাৎ পান উৎসবে। সৃষ্টি হয় এক আবেগ আর আনন্দঘন পরিবেশ।

উৎসবে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নির্বাহী মেয়র কাউন্সিলর জন বিগস, ক্রয়ডন কাউন্সিলের মেয়র কাউন্সিলর হুমায়ূন কবির, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ডেপুটি স্পিকার কাউন্সিলর আহবাব হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখক ও গবেষক তাজুল মোহাম্মদ, ঢাকাদক্ষিণ সরকারী ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ শফিক উদ্দিন, বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাসন, সাবেক স্পিকার কাউন্সিলার রাজিব আহমদ, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কমিশনার মোশারফ হোসেন খোকন, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব দেওয়ান গৌছ সুলতান প্রমুখ।

গোলাপগঞ্জ উৎসবে সোশ্যাল ট্রাস্টের কার্যক্রমে যারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তাদের মধ্য থেকে গোল্ডেন, সিলভার এবং ব্রোঞ্জ এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডস এবং ১৩ জনকে এচিভমেন্ট সার্টিফিকেট দেয়া হয়। উৎসবে জেনারেল সেক্রেটারি আনোয়ার শাহজাহানকে দেয়া হয় গোল্ডেন এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডস, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল বাছিতকে সিলভার এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডস এবং কালচারাল সেক্রেটারি রায়হান উদ্দিনকে ব্রোঞ্জ এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডস

যাঁদের এচিভমেন্ট সার্টিফিকেট দেয়া হয় তারা হলেন, রুহুল আমিন রুহেল, রোমান আহমদ চৌধুরী, মোঃ নুরুল ইসলাম, বদরুল আলম বাবুল, মোহাম্মদ জহির হোসেন গৌছ, সালেহ আহমদ, মোঃ মুকিতুর রহমান, আব্দুল বাছির, তারেক রহমান ছানু, মোঃ নাছির উদ্দিন, মোহাম্মদ জাকারিয়া, মোহাম্মদ আব্দুল মতিন এবং মুহিবুল হক।

গোলাপগঞ্জ উৎসব উপলক্ষে ২৭২ পৃষ্ঠার সম্পূর্ণ রঙিন কালারের একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। “প্রজন্মের সেতু” নামক স্মারকগ্রন্থে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের ৪১৭ জন সদস্যের নাম ও ছবি, প্রবাসী গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি সংগঠক ও সংগঠন নিয়ে আলোচনাসহ গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১০ জুলাই ২০১৯ পর্যন্ত সকল কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। ১০১ সদস্য বিশিষ্ট উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত, যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন রুহেল, জহির হোসেন গৌছ ও আনোয়ার শাহজাহান এবং সদস্য সচিব আব্দুল বাছির, অর্থ সচিব বদরুল আলম বাবুল।

 

ফ্রি লিগ্যাল এবং একাউন্টিং সার্ভিস

২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর এবং ২৫ নভেম্বর যুক্তরাজ্যের সুনামধন্য সলিসিটরস এবং একাউন্টেন্সি প্রফেশনালদের মাধ্যমে ট্রাস্টের সদস্যদের ফ্রি লিগ্যাল এবং ফ্রি একাউন্টিং পরামর্শ দেয়া হয়। এতে ট্রাস্টের অনেক সদস্যবৃন্দ ফ্রি লিগ্যাল এবং ফ্রি একাউন্টিং সার্ভিস গ্রহণ করেন।

 

ডায়াবেটিস সচেতনতা ক্যাম্পেইন

২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর পূর্ব লন্ডনের ১১০ নম্বর হোয়াইটচ্যাপেল রোডে একটি রেস্টুরেন্টে ডায়াবেটিস নিয়ে শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ট্রাস্টের উপদেষ্টা ডক্টর রেণু লুৎফার আয়োজনে উক্ত সেমিনারে ডায়াবেটিস বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন ডায়াবেটিস ইউকের পার্টনারশিপ ডেলিভারি ম্যানেজার জেসমিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে ট্রাস্টের সদস্যদের পাশাপাশি প্রচুর সংখ্যক ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী উপস্থিত ছিলেন।

 

দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উদযাপন

২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর পূর্ব লন্ডনের কবি নজরুল প্রাইমারি স্কুলে কেক কেটে বর্ষপূর্তি পালন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্রয়ডন কাউন্সিলের মেয়র কাউন্সিলার হুমায়ূন কবির। অনুষ্ঠানে ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত এবং জেনারেল সেক্রেটারি আনোয়ার শাহজাহান, ট্রেজারার বদরুল আলম বাবুল সবাইকে ট্রাস্টের কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

২০২০ সাল

ভার্চুয়াল দোয়া মাহফিল

২০২০ সালের ২৪ জানুয়ারি সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গোলাপগঞ্জবাসীদের দ্রুত সুস্থতা এবং যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে এক ভার্চুয়াল দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

 

বিশ্বের প্রথম ভার্চুয়াল সবজিবাগান প্রতিযোগিতা

২০২০ সালের ১১ অক্টোবর গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের উদ্যোগে বিশ্বের প্রথম ভার্চুয়াল সবজিবাগান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩২ জন প্রতিযোগি অংশ গ্রহণ করেন। লাইভ অনুষ্ঠানে ভোটাভুটির মাধ্যমে ৩২ জন প্রতিযোগির মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থান নির্ধারণ করা হয়।

২০২০ সালের ১১ অক্টোবর ফাইনাল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সোশ্যাল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল বাছিতের সভাপতিত্বে এবং জেনারেল সেক্রেটারির আনোয়ার শাহজাহানের উপস্থাপনায় লাইভ অনুষ্ঠানের অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পিকার কাউন্সিলর আহবাব হোসেন, এনটিভি ইউরোপ এর সিইও সাবরিনা হোসেন। অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ট্রাস্টের ট্রেজারার বদরুল আলম বাবুল।

লাইভ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরো সংযোগ ছিলেন, বিবিপিআই এর ফাউন্ডার কাউন্সিলর আবদাল উল্লা, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমদাদুল হক চৌধুরী, গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ইউকের উপদেষ্টা ড. আব্দুল আজিজ তকি, তছউর আলী এবং নাজিম উদ্দিন মাস্টার, গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান রুহুল আমিন রুহেল এবং জহির হোসেন গৌছ, গোলাপগঞ্জ হেলপিং হ্যান্ডস ইউকের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সায়াদ আহমদ সাদ এবং প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, জালালাবাদ ফাউন্ডেশন ইউকের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছির, ঢাকাদক্ষিণ উন্নয়ন সংস্থা ইউকের সাধারণ সম্পাদক ইয়ামীম রুহুল হোসেন দিদার, এনটিভি ইউরোপ এর স্পেশাল রিপোর্টার কয়েস আহমদ রুহেল, গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের এসিস্ট্যান্ট জেনারেল সেক্রেটারি তারেক রহমান ছানু, কালচারাল সেক্রেটারি রায়হান উদ্দিন, মেম্বারশিপ সেক্রেটারি সালেহ আহমদ, এসিস্ট্যান্ট ট্রেজারার হাসান আহমদ, ইসি মেম্বার মুহিবুল হক এবং মোহাম্মদ জাকারিয়া প্রমুখ।

সবজিবাগান প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন লুৎফুর রহমান (লামা চন্দরপুর, বুধবারীবাজার), দ্বিতীয় রাফনা বেগম লুবনা (রাজাপুর, ভাদেশ্বর), তৃতীয় মাইজ উদ্দিন আহমদ (বাগিরঘাট, বুধবারীবাজার) এবং চতুর্থ মির্জা মাহফুজ আলম নিজাম (আলীনগর, বিয়ানীবাজার)।

 

করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন কার্যক্রম

২০২০ সালের ২০ অক্টোবর হতে সপ্তাহে ১দিন যুক্তরাজ্যে গোলাপগঞ্জবাসীদের করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে নিরাপদ রাখার জন্য ঘরে বসে ভার্চুয়াল চেয়ার এক্সারসাইজ এর আয়োজন করা হয়। এটি মোট ৬টি সেশন অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া ২৫ অক্টোবর হতে করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করার জন্য ডাক্তার শাহরিয়ার মোহাম্মদ সাদেক এর মাধ্যমে ভার্চুয়াল ভাবে মোট ৬ সপ্তাহ পরামর্শ দেয়া হয়।

পাশাপাশি ২৫ নভেম্বর হতে যুক্তরাজ্যে গোলাপগঞ্জবাসীদের জন্য অনলাইনে ইয়োগা এক্সারসাইজ ক্লাস এর আয়োজন করা হয়। এটি সপ্তাহে ১দিন করে মোট ৬ সেশন অনুষ্ঠিত হয়।

২০২০ সালের ১০ নভেম্বর ‘করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ও আমাদের করণীয়’ ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। জেনারেল সেক্রেটারি লেখক-সাংবাদিক আনোয়ার শাহজাহানের পরিচালনায় এবং চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল বাছিতের সভাপতিত্বে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পিকার কাউন্সিলার আহবাব হোসেন সহ কমিউনিটির বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।

 

২০২১ সাল

গোলাপগঞ্জ উপজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট

২০২১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মাইল এন্ড স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় গোলাপগঞ্জ ইউনিয়ন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। জমকালো আয়োজন ও আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন এবং পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়ন রানার্সআপ হয়। গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মোহাম্মদ জাকারিয়া এবং পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নের ম্যানেজার শিহাব উদ্দিন।

 

পিঠা উৎসব ও ঈদ পূর্ণমিলনী

২০২২ সালের ৭ মে লন্ডনের ম্যানরপার্কস্থ লন্ডন ভ্যানুতে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ইউকের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় পিঠা উৎসব ও ঈদ পূর্ণমিলনী। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের গ্রাম-বাংলার সংস্কৃতির ধারক এ পিঠা উৎসবটি পরিণত হয় বাঙালির মিলনমেলায়। উচ্চারিত হয় বাঙালি সংস্কৃতির জয় গান। ব্রিটেনে জন্ম নেওয়া ও বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের কাছে বাঙালি সংস্কৃতিকে তুলে ধরাই ছিল এ পিঠা উৎসবের অন্যতম লক্ষ্য।

অনুষ্ঠানের শুরুতে আয়োজকদের পক্ষ থেকে সবাইকে স্বাগত জানান ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত ও ট্রেজারার বদরুল আলম বাবুল। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন
জেনারেল সেক্রেটারি সাংবাদিক আনোয়ার শাহজাহান। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন ট্রাস্টি আমীর হোসেন।

অনুষ্ঠানমালায় ছিল আলোচনা সভা, গান, কবিতা, পুঁথি পাঠ, কৌতুক, মনোজ্ঞ পরিবেশনাসহ নানা কর্মসূচি। হাসি উচ্ছ্বাস, শুভেচ্ছা, অভিনন্দন এসবের মধ্য দিয়ে চমৎকার এই আয়োজনে বাঙালি সংস্কৃতির জয়গান প্রতিধ্বনিত হয়। উপস্থিত সবাইকে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও আপ্লুত করে তোলে। পিঠা উৎসবে গোলাপগঞ্জ এলাকার লোকজন ছাড়াও বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি কমিউনিটির লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে গান, পুঁথি পাঠ, কবিতা আবৃত্তিতে অংশ গ্রহন করেন পাশাপাশি বক্তব্য রাখেন, ডাক্তার হাফিজ উদ্দীন আহমদ, ড. আব্দুল আজিজ তকি, আবজল হোসেন, লেখক ফারুক আহমদ, ইছবাহ উদ্দিন আহমদ, জয়নাল উদ্দিন, মাহমুদুর রহমান শানুর, আলহাজ্ব মো: আবুল কালাম, ফেরদৌস আলম, আফসর হোসেন এনাম, হাবিবুর রহমান, সাংবাদিক এনাম চৌধুরী, স্মৃতি আজাদ, কবি হাফসা ইসলাম নুর, কবি শাহারা খান, কবি নুরজাহান রহমান, ইয়াইয়া খান, শেখ রওশন আরা নীপা প্রমুখ। ট্রাস্টের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, মিছবাহ জামাল, জহির হোসেন গৌছ, আব্দুল বাছির, মোহাম্মদ জাকারিয়া, জেনিফার সারোয়ার লাক্সমী, সালেহ আহমদ, কবির আহমদ, আব্দুল বাছিত, মোহাম্মদ সুলতান আহমদ, মুফিজুর রহমান চৌধুরী একলিল, রওশন জাহান, শাহিন আহমদ, সলিসিটর এম এ শাফি, আলম খান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মকলু মিয়া, আকলু মিয়া, রায়হান উদ্দিন, নুরুল ইসলাম, জামিল আহমদ, জুবায়ের সিদ্দিকী, আব্দুস সামাদ, মুহিবুর রহমান মুহিব, রিনা দাস, শাহজান সিরাজ দারা, আনোয়ার খান, জ্যোতি জামান, আমির খছরু, মাসুদ আহমদ, আকরাম চৌধুরী, আজাদ আলী, আবুল হোসেন, কয়েস আহমদ রুহেল, শাহজাহান সিদ্দিক, আলম চৌধুরী, দেলওয়ার খান, কবির আহমদ, রাজিউর রহমান, দেলোয়ার হোসেন, কিশওয়ার এনাম লিটন, সুহেল আহমদ, শাখাওয়াত হোসেন ফরাজি, আবিদ হোসেন তানু, আলী হোসেন, রুহুল আমিন, নাসরিন শাহজাহান, দিলারা বেগম, পারভীন আক্তার চৌধুরী, আয়েশা সানিলা, রেহানা কামাল, সুফিয়া খাতুন, রুহেলা হোসেন, শিরিন সুলতানা, মুন কোরেশী, ইসরাত জাহান কলি, সায়মা মোনাম, রুমানা এনাম আলিশা বেগম, রুজি বেগম, প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করেন তরুছায়া ওমেনস অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান ও উপস্থাপক শেখ রওশন আরা নীপা, বিউটিফুল লেডিস গ্রুপের মিছবা আহমদ, ইষ্টান কানেকশন এর তাহিরা জিনিয়া প্রমুখ।

 

গোলাপগঞ্জ উপজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট

২০২২ সালের ১৯ জুন তৃতীয় গোলাপগঞ্জ উপজেলা ইউনিয়ন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট লন্ডনের মাবলি গ্রিন ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এবছর গোলাপগঞ্জ স্পোর্টস ফাউন্ডেশনের সাথে যৌথভাবে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। টুর্নামেন্টে লক্ষিপাশা ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন এবং বাঘা ইউনিয়ন রানার্সআপ হয়। লক্ষীপাশা ইউনিয়ন ফুটবল টিমের ম্যানেজার ছিলেন আব্দুল বাছিত এবং বাঘা ইউনিয়ন টিমের ম্যানেজার জাকির আহমদ ও সাকির আহমদ।

 

সবজিবাগান প্রতিযোগিতা

ব্রিটেনে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শাক-সবজি চাষে উৎসাহ প্রদানের জন্য গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ইউকে ২০২০ সালে সবজিবাগান প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এটি ছিল ব্রিটেনে বাংলাদেশিদের প্রথম উদ্যোগ। ২০২২ সালের ২১ আগষ্ট দ্বিতীয়বারের মত সবজিবাগান প্রতিযোগিতায় ৪১ জন প্রতিযোগি স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেন। এতে প্রথম স্থান অর্জন করেন মির্জা মাহফুজ আলম নিজাম (আলীনগর, বিয়ানীবাজার), দ্বিতীয় লুৎফর রহমান (লামা চন্দরপুর, বুধবারীবাজার), তৃতীয় মাওলানা আশরাফুল ইসলাম (দত্তরাইল, ঢাকাদক্ষিণ) চতুর্থ কবির আহমদ (লক্ষনাবন্দ)। বিজয়ীদের গোলাপগঞ্জ উৎসব মঞ্চে পুরস্কৃত করা হয়।

স্টুডেন্ট এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড

২০২২ সালে জিসিএসই এবং এ লেভেল পরীক্ষায় ব্রিটেনে গোলাপগঞ্জের যে সকল শিক্ষার্থীরা জিসিএসই এবং এ লেভেল পরীক্ষায় কৃতিত্ব অর্জন করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ইউকের পক্ষ থেকে তাদেরকে সংবর্ধনা এবং ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

২০২২ সালে ২৩ অক্টোবর গোলাপগঞ্জ উৎসবে ৯ জন কৃতি শিক্ষার্থীদের প্রথমবারের মত স্টুডেন্ট এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।

২৩ অক্টোবর রবিবার পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আর্টস সেন্টারে গোলাপগঞ্জ উৎসব মঞ্চে কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কমিউনিটির বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন। উৎসবে ৪ জন জিসিএসই এবং ৩ জন এ লেভেল পরীক্ষায় কৃতী শিক্ষার্থীকেও সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
সম্বর্ধিত শিক্ষার্থীরা হলেন ফাইয়া জাফরিন, তায়েফ ইসলাম, সানজিদা আহমেদ, সাফরাজ মোহাম্মদ চৌধুরী, ওয়াফি আদনান আহমেদ, সামিরা খান ও তাসনিয়া হোসেন।

 

গোলাপগঞ্জ পদক

ব্রিটেনে বসবাসরত গোলাপগঞ্জ এলাকার যে সকল নাগরিকরা বিভিন্ন সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এবং বর্তমানে রেখে যাচ্ছেন তাদের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রিটেনে ২০২২ সালে ৪জন গুণীকে ‘গোলাপগঞ্জ পদক’ দেয়া হয়।

প্রথমবারের মত যাদের গোলাপগঞ্জ পদক দেয়া হয় তারা হলেন –
১। কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক ও ভাষা সৈনিক তাসাদ্দুক আহমদ এমবিই (মরণোত্তর; ভাদেশ্বর)।
২। কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব নিছার আলী (মরণোত্তর; বুধবারীবাজার)।
৩। কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও সংগঠক সালেহ আহমদ খান এমবিই (ফুলসাইন্দ, লক্ষনাবন্দ)।
৪। সমাজ বিজ্ঞানী ও কলামিস্ট ডক্টর রেণু লুৎফা (রানাপিং, গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন)।

২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর গোলাপগঞ্জ উৎসবে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁদের “গোলাপগঞ্জ পদক” প্রদান করা হয়। এত উপস্থিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন বারা অব টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নির্বাহী মেয়র লুৎফর রহমান, লন্ডন বারা অব টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পিকার কাউন্সিলর শাফি আহমদ, কেমডেন কাউন্সিলের মেয়র কাউন্সিলর নাসিম আলী ওবিই, বার্কিং ও ডেগেনহাম বারা কাউন্সিলের মেয়র কাউন্সিলার ফারুক চৌধুরী, ওয়ার্থিং বারা কাউন্সিলের মেয়র কাউন্সিলার ফেরদৌসী হেনা চৌধুরী, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমদাদুল হক চৌধুরী, আই অন টিভির সিইও আতাউল্লাহ ফারুক, সাবেক স্পিকার আহবাব হোসেন।

 

দ্বিতীয় গোলাপগঞ্জ উৎসব

লন্ডনে সিলেটের গোলাপগঞ্জবাসীদের নিয়ে দ্বিতীয়বারের মত অনুষ্ঠিত হয় গোলাপগঞ্জ উৎসব। গোলাপগঞ্জ উৎসব যেন হয়ে উঠে লন্ডনে একখণ্ড গোলাপগঞ্জ। এতে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস নিয়ে নামে গোলাপগঞ্জীদের বাঁধভাঙ্গা জনজোয়ার। রোববার ২৩ অক্টোবর পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আট সেন্টারে অনুষ্ঠিত গোলাপগঞ্জ উৎসব পরিণত হয়েছিল একটি মিলনমেলায়।

উৎসবে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন আনন্দপিপাসু গোলাপগঞ্জের মানুষ। দীর্ঘদিন পর পরিচিত বন্ধুবান্ধব একে অপরের সাক্ষাৎ পান উৎসবে। সৃষ্টি হয় এক আবেগ আর আনন্দঘন পরিবেশ। পশ্চিমা ধারায় বেড়ে ওটা প্রজন্মের শেকড়মুখি হওয়ার একটি উপলক্ষ্যও যে এই উৎসব সেটাই লক্ষ্য করেছেন গোলাপগঞ্জবাসী।

দুপুর ১২.৩০ টায় শুরু হয় গোলাপগঞ্জ উৎসব—এর আনুষ্ঠানিকতা। ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল বাছিতের সভাপতিত্বে এবং জেনারেল সেক্রেটারি আনোয়ার শাহজাহানের পরিচালনায় লন্ডন বারা অব টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পিকার কাউন্সিলর শাফি আহমদ এবং বার্কিং ও ডেগেনহাম বারা কাউন্সিলের মেয়র কাউন্সিলার ফারুক চৌধুরী বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসবের উদ্বোধন করেন।

গোলাপগঞ্জ উৎসবে বিভিন্ন পর্বে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন বারা অব টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নির্বাহী মেয়র লুৎফর রহমান, লন্ডন বারা অব টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পিকার কাউন্সিলর শাফি আহমদ, কেমডেন কাউন্সিলের মেয়র কাউন্সিলর নাসিম আলী ওবিই, বার্কিং ও ডেগেনহাম বারা কাউন্সিলের মেয়র কাউন্সিলার ফারুক চৌধুরী, ওয়ার্থিং বারা কাউন্সিলের মেয়র কাউন্সিলার ফেরদৌসী হেনা চৌধুরী, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমদাদুল হক চৌধুরী, আই অন টিভির সিইও আতাউল্লাহ ফারুক, সাবেক স্পিকার আহবাব হোসেন।

গোলাপগঞ্জ উৎসবে গোলাপগঞ্জ পদক, স্টুডেন্ট অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড, সবজি বাগান প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান, গোলাপগঞ্জ ইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্ট বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান, গোলাপগঞ্জ হাউস – এর পার্মানেন্ট ডোনার মেম্বারদের ক্রেস্ট প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ ছিল নানা আয়োজন।

উৎসবে আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর হায়াতুল ইসলাম আকঞ্জি, ঢাকাদক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল মুতলিব মছন মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুর রহমান খান, তছউর আলী মাস্টার, সিটি অব ওয়েসমিনস্টার কাউন্সিলের লাইসেন্সি এর চেয়ার কাউন্সিলর ড. আব্দুল আজিজ তকি, রাজনীতিবিদ ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব শামীম আহমদ, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের কেবিনেট মেম্বার ফর সেইফার কমিউনিটিস এর কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলর আ ম অহিদ আহমদ, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সহ—সভাপতি সাংবাদিক রহমত আলী, লেখক গবেষক ফারুক আহমদ, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জুবায়ের, কাউন্সিলর রেবেকা সুলতানা, কাউন্সিলর জোসনা ইসলাম, কাউন্সিলর ফায়জুর রহমান, কাউন্সিলর জায়েদ চৌধুরী, কাউন্সিলর সাবরিনা খান, কাউন্সিলর বেলাল উদ্দিন, ব্রিট বাংলা২৪ ডটকম’র এক্সিকিউটিভ এডিটর সাংবাদিক আহাদ চৌধুরী বাবু, জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক আহমদ সওদাগর সায়েক ও লেখক সাংবাদিক নুরুন্নবী আলী।

২০২৩ সাল

ট্রাস্টের নামে নিজস্ব সম্পত্তি

ইংল্যান্ডে সম্পত্তি কেনার মাধ্যমে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ইউকের স্বপ্ন পুরণ হল। যে স্বপ্ন নিয়ে ২০২৭ সালে সোশ্যাল ট্রাস্টের যাত্রা শুরু হয় ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ট্রাস্টের নামে নিজস্ব সম্পত্তি কেনার মাধ্যমে সেই স্বপ্ন পুরণ হয়।

২০২৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সোশ্যাল ট্রাস্টের বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভায় আনুষ্ঠানিক ভাবে সোশ্যাল ট্রাস্টের সকল সদস্য এবং গোলাপগঞ্জ হাউসের দাতা সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

১ জুন বৃহস্পতিবার গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের নিজস্ব প্রপার্টি পরিদর্শন করেন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত ও জেনারেল সেক্রেটারি আনোয়ার শাহজাহান।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট সাসেক্স এলাকায় ট্রাস্টের নামে একটি প্রপার্টি ক্রয় করা হয়। দোকানের পার্কিং সুবিধাসম্পন্ন এ প্রপার্টি থেকে বছরে ভাড়া বাবত ৬ হাজার ২ শত পাউন্ড আয় করবে সোশ্যাল ট্রাস্ট। এই সম্পত্তি ভাড়া এবং ট্রাস্টের জমাকৃত অর্থ দিয়ে ভবিষ্যতে বাংলাদেশি অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডনে একটি কমিউনিটি সেন্টার ক্রয় করে ট্রাস্টের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের নিজস্ব প্রপার্টি পরিদর্শনের পর ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত বলেন, সম্মিলিতভাবে টাওয়ার হ্যামলেটসে ‘গোলাপগঞ্জ হাউস’ কেনার উদ্যোগ নিয়েছি। সেটা এখনো বাস্তবায়ন করা সম্ভব না হলেও প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এটা আমার জীবনের অন্যতম বড় তৃপ্তি। ট্রাস্টের সদস্যদের অর্থ সঠিকভাবে কাজে লেগেছে এটা বিশাল অর্জন। আগামীতে আমাদের এই স্বপ্ন আরও এগিয়ে যাবে।

ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি আনোয়ার শাহজাহান বলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে এ সংগঠনের যাত্রা শুরু হয় আজ কিছুটা হলেও পুরণ হয়েছে। একটি সংগঠনের ইসি কমিটি ঐক্যবদ্ধ থাকলে অনেক কিছু অর্জন করা যায় তার প্রমাণ হচ্ছে এ সফলতা। তিনি আরো বলেন, দাতা ও সদস্যদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। এই সম্পত্তি কেনার মধ্য দিয়ে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত হলো।

গোলাপগঞ্জ সোশ্যাল ট্রাস্ট ইউকের প্রপার্টি কিনতে গোলাপগঞ্জ হাউসের আজীবন দাতা সদস্য এবং সোশ্যাল ট্রাস্টের সাধারণ সদস্যদের ফি দিয়ে ক্রয় করা হয়। এ পর্যন্ত গোলাপগঞ্জ সোশ্যাল ট্রাস্টের সদস্য সংখ্যা হলেন;

ক. সাধারণ সদস্য ৫৮০ জন
খ. এসোসিয়েট সদস্য ১৮ জন
গ. আজীবন দাতা সদস্য ৩৮ জন এবং
ঘ. এসোসিয়েট দাতা সদস্য ২ জন।

 

কেরাত প্রতিযোগিতা

শুদ্ধ উচ্চারণ ও শিশু কিশোরদের কুরআন চর্চায় অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে ব্রিটেনে প্রথমবারের মত কেরাত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ইউকে। ২০২৩ সালের ১০ এপ্রিল পূর্ব লন্ডনের ইমপ্রেশন ইভেন্টস হলে এই প্রতিযোগিতায় মুল পর্বে ৯জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পপলার অ্যান্ড লাইম হাউ‌জ আসনের এম‌পি আফসানা বেগম, ক্যামডেন কাউন্সিলের মেয়র কাউন্সিলার নাছিম আলী ওবিই, বার্কিং অ্যান্ড ডেগেনহাম কাউন্সিলের মেয়র কাউন্সিলার ফারুক চৌধুরী। এতে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাফিজ মাওলানা জিয়াউর রহমান এবং হাফিজ মাওলানা মো রিদওয়ান হোসেন। কেরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন তামজিদ আল কাদির (লক্ষনাবন্দ), ২য় হাফিজ তালহা রহমান (শরিফগঞ্জ) এবং ৩য় ইউসুফ আব্দুল কাদির (কদমরসুল, পশ্চিম আমুড়া)।

সোশ্যাল ট্রাস্টের এমন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে আফসানা বেগম এমপি বলেন, পবিত্র কোরআন একটি সম্পূর্ণ জীবনব্যবস্থা। একজন ভালো মুসলমানের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কোরআনের আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি। মেয়র নাছিম আলী ওবিই বলেন কমিউনিটির পাশে থেকে কমিউনিটির জন্য কাজ করা সোশ্যাল ট্রাস্টের সকল মহতী প্রয়াস সফল হোক। মেয়র ফারুক চৌধুরী কেরাত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে সোশ্যাল ট্রাস্টের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করেন। কেরাত প্রতিযোগিতায় সফল করতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন মোহাম্মদ জাকারিয়া, সাইফুল ইসলাম, তারিক রহমান ছানু সহ ইসি ও বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যবৃন্দ।

 

চতুর্থ গোলাপগঞ্জ ফুটবল টুর্নামেন্ট

বুধবারীবাজার ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন এবং পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়ন রানার্সআপ
বিপুল সংখ্যক ফুটবলপ্রেমি দর্শকের উপস্থিতিতে চতুর্থবারের মতো গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টে ইউকের উদ্যোগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর পূর্ব লণ্ডনের মাইল অ্যাণ্ড স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় চতুর্থ গোলাপগঞ্জ ফুটবল টুর্নামেন্ট।

টুর্নামেন্টে প্রবাসে বসবাসরত গোলাপগঞ্জীসহ বাংলাদেশিদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বুধবারীবাজার ইউনিয়ন। ফাইনাল খেলায় রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সোশ্যাল ট্রাস্টের অন্যতম ট্রাস্টি আব্দুল বাছির। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলায় গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নকে হারিয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করে ভাদেশ্বর ইউনিয়ন। রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বোর্ড মেম্বার মো হাবিবুর রহমান। টুর্নামেন্টে গোলাপগঞ্জের ১১টি ইউনিয়ন এবং পৌরসভাসহ ১২টি দল অংশ নেয়। সকাল ১১টার দিকে টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন করেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ইউকের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক আনোয়ার শাহজাহান। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং সাপ্তাহিক দেশ পত্রিকার সম্পাদক তাইসির মাহমুদ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি তারিক রহমান ছানু। অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় ছিলেন স্পোর্টস সেক্রেটারি কবির আহমদ।

গোলাপগঞ্জ উপজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট ১২ টিমের ম্যানেজার এবং এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন –

গোলাপগঞ্জ পৌরসভা: মোহাম্মদ শামীম আহমদ এবং মোহাম্মদ সাজন।
বাঘা ইউনিয়ন: ইসা জাকির এবং ফরহাদ আহমদ।
গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন: মুফিজুর রহমান চৌধুরী একলিল এবং মামুনুর রশীদ মাছুম।
ফুলবাড়ী ইউনিয়ন: মো সামাদ চৌধুরী এবং মুরাদ চৌধুরী।
লক্ষিপাশা ইউনিয়ন: আব্দুল বাছিত এবং তাজ মাহমুদ।
বুধবারীবাজার ইউনিয়ন: মোহাম্মদ সুলতান হায়দার জসিম এবং নজরুল ইসলাম।
ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন: মোহাম্মদ শামীম আহমদ এবং মো: মুকিতুর রহমান মুকিত।
লক্ষনাবন্দ ইউনিয়ন: মো মোস্তাক আহমদ হেলাল এবং আবুল কালাম আজাদ।
ভাদেশ্বর ইউনিয়ন: মোহাম্মদ সুলতান আহমদ এবং মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।
পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়ন: সুহেল আহমদ চৌধুরী এবং দেলোয়ার হোসেন।
উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়ন: মো হাবিবুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন আহমদ।
শরিফগঞ্জ ইউনিয়ন: মুহিবুল হক ও মো নাছির উদ্দিন।

গোলাপগঞ্জ উপজেলা ফুটবল টুর্নামেন্টের স্পন্সর ছিলো বার্কলেস ব্যাংক এবং মনজিল এণ্ড কোম্পানি। কো-স্পন্সর ছিলো গ্লোব মটরস, ভেন্টেজ এক্সিডেন্ট ম্যানেজমেন্ট, সানরাইজ, পেটেপ, রহিমস ক্যাশ এণ্ড ক্যারি, ইউরো মটরস, প্রোটো মটরস, ড্রিমস ব্যাংকুইটিং, মেরিগো সার্ভিস এবং স্পাইস হাট। এসময় টুর্নামেন্টে উপস্থিত ছিলেন পে-টেপ-এর সাহেদ উদ্দিন এবং তফাজ্জুল হোসেন। অনুষ্ঠানে স্পন্সরদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়। টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন বুধবারীবাজার ইউনিয়ন, রানার্সআপ পশ্চিম আমড়া ইউনিয়ন এবং তৃতীয়স্থান অধিকারী ভাদেশ্বর ইউনিয়ন এবং ফাইনাল খেলায় সর্বোচ্চ গোলদাতা সাহিল আহমদ এবং বেস্ট গোলকিপার আমিনুর রহমানকে ট্রফি দেয়া হয়। এছাড়া খেলায় অংশগ্রহণকারী সকল টিমের খেলোয়াড়, ম্যানেজার, রেফারিকে মেডেল দেয়া হয়।

 

তৃতীয় সবজিবাগান প্রতিযোগিতা

ব্রিটেনে প্রথমবারের মত সবজিবাগান প্রতিযোগিতার আয়োজন করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ইউকে। প্রথম এবং দ্বিতীয় প্রতিযোগিতা সাফল্যের সাথে সম্পন্ন করার জন্য তৃতীয় সবজিবাগান প্রতিযোগিতায় ২৭ জন প্রতিযোগি অংশগ্রহণ করে।

লন্ডন বাংলা স্কুল

২০২৩ সালের ১৯ জুন গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ইউকের বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভায় ট্রাস্টের চেয়ারম্যান আনোয়ার শাহজাহান ইস্ট লন্ডনে একটি বাংলা স্কুল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব গৃহীত হয়। এই নিয়ে গত ২৯ আগস্ট লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবে একটি সাংবাদিক সম্মেলনেরও আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে কমিউনিটির সকলের সহযোগিতা কামনা করেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ইউকের নেতৃবৃন্দ।

২০২৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলা স্কুলের কার্যক্রম শুরু হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র এবং এডুকেশন চেয়ার কাউন্সিলর মায়ুম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডেপুটি মেয়র মায়ুম মিয়া তালুকদার কাউন্সিলের পক্ষ থেকে সকল সুযোগ সুবিধা দেয়ার আশ্বাস প্রদান করে এরকম একটি মহতি উদ্যোগের জন্য তিনি সোশ্যাল ট্রাস্টের প্রশংসা করেন।

লন্ডন বাংলা স্কুল পরিচালনার জন্য একটি পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কমিউনিটির বিশিষ্টজনদের নিয়ে একটি উপদেষ্টা কমিটিও গঠন করা হবে। এছাড়া ভবিষ্যতে অভিভাবকদের নিয়ে স্কুল গভর্নর কমিটি গঠন করা হবে।

 

লন্ডন বাংলা স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটি:

চেয়ারম্যান:
আনোয়ার শাহজাহান, ঢাকাদক্ষিণ

সদস্য:
তারেক রহমান ছানু, শরিফগঞ্জ
মোহাম্মদ জাকারিয়া, গোলাপগঞ্জ সদর
সালেহ আহমদ, বুধবারীবাজার
সাইফুল ইসলাম, লক্ষনাবন্দ
আব্দুল বাছিত, লক্ষিপাশা
হাবিবুর রহমান হাবিব, উত্তর বাদেপাশা
মুফিজুর রহমান চৌধুরী, গোলাপগঞ্জ সদর
কবির আহমদ, লক্ষনাবন্দ
মোহাম্মদ সুলতান আহমদ, ভাদেশ্বর
নজরুল ইসলাম, বুধবারীবাজার
মুহিবুল হক, শরিফগঞ্জ
সোহেল আহমদ চৌধুরী, পশ্চিম আমুড়া
মস্তাক আহমদ হেলাল, লক্ষনাবন্দ
মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ভাদেশ্বর
মোহাম্মদ শামীম আহমদ, ঢাকাদক্ষিণ
আমির হোসেন, ভাদেশ্বর
সুহেল আহমদ, লক্ষনাবন্দ।

বাংলা স্কুল পরিচালনার জন্য ৬ জন শিক্ষককে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩জন হচ্ছেন অবৈতনিক। উল্লেখ্য লন্ডন বাংলা স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন ফি নেয়া হয়না। এছাড়া সকল প্রকার শিক্ষা সামগ্রী শিক্ষার্থীদের ফ্রি দেয়া হয়।

বাংলা স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ:
তছউর আলী, প্রধান শিক্ষক (অবৈতনিক)
প্রফেসর মিছবা কামাল
আনোয়ার শাহজাহান (অবৈতনিক)
রোজি ইসলাম (অবৈতনিক)
হামিদা জ্যোতি
নুসরাত আহমেদ নওরিন।

বাংলা স্কুল প্রবাসে বেড়ে ওঠা তৃতীয় প্রজন্মের কাছে শুধু বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সংস্কৃতিকে তুলে ধরাই নয়, একটি বাংলা স্কুল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলা ভাষায় তাদের দক্ষ করে গড়ে তোলা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে আমরা মনে করি। বাংলা স্কুলকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সফল করে তুলার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

সম্মানিত গোলাপগঞ্জবাসী, আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন গোলাপগঞ্জকে নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি, গোলাপগঞ্জকে নিয়ে উন্নয়নের স্বপ্ন দেখি। গোলাপগঞ্জকে ভালোবাসি বলেই আমাদের এত আয়োজন। আপনাদের সকলের পরামর্শ নিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে চাই। ঐকমত্যের ভিত্তিতে সবাই মিলে ব্রিটেনে গোলাপগঞ্জের কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ আগামীর পথে এগিয়ে নিতে হবে। আমাদের পিছিয়ে থাকলে চলবে না। গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করার একটি মাত্র লক্ষ্য ছিল ব্রিটেনে গোলাপগঞ্জের কমিউনিটির জন্য কাজ করা। আমাদের মূল লক্ষ্য বাস্তবায়নে আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা সবাই এ ট্রাস্টের সদস্য বৃদ্ধিতে কাজ করলে একদিন ব্রিটেনে বৃহত্তর একটি ট্রাস্ট হিসেবে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট (ইউকে) কমিউনিটিতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে।

গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট (ইউকে)’র বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট কমিটি, নির্বাহী কমিটি সহ সকল ট্রাস্টি বৃন্দের মঙ্গল কামনা করছি। যারা আমাদের প্রতি আস্থা রেখে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সোশ্যাল ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠাকালীন প্রথম সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন এবং যারা এ পর্যন্ত ট্রাস্টের সদস্যপদ গ্রহণ করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের পথচলায় অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন তাঁদের সবাইকে জানাই অকৃত্রিম ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

৮ জানুয়ারি ২০২৪, লন্ডন।