গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ইউকের সম্পদ ৯২,০০০ পাউন্ড ছাড়ালো

গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ইউকের সম্পদ ৯২,০০০ পাউন্ড ছাড়ালো

৮ বছরে উল্লেখযোগ্য অর্জন: স্বচ্ছতা, স্থিতি ও কমিউনিটির প্রতি দায়বদ্ধতার নজির

লন্ডন, ১৫ জুলাই ২০২৫ — যুক্তরাজ্যে নিবন্ধিত দাতব্য সংস্থা গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ইউকে ২০১৭ সাল থেকে ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত সময়কালীন একটি বিস্তৃত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, সংস্থাটির বর্তমান মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯২,৩৮১.৯৫, পাউন্ডস, যার মধ্যে রয়েছে ব্যাংকে জমাকৃত অর্থ ও সম্পদ থেকে আয়।

এই আর্থিক সাফল্য প্রমাণ করে যে, প্রবাসী গোলাপগঞ্জবাসীরা কেবল আবেগ দিয়ে নয়—দায়িত্ব, ঐক্য এবং দূরদর্শিতার সঙ্গে একটি স্বচ্ছ ও টেকসই প্রতিষ্ঠানের ভিত গড়ে তুলেছেন।

■ সদস্যদের অনুদান: শক্তিশালী ভিত্তি

সংস্থার প্রধান আয়ের উৎস হচ্ছে আজীবন সদস্য ফি। শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ৫৫৩ জন সাধারণ সদস্য এবং ১৬ জন অ্যাসোসিয়েট সদস্য ১০০ পাউন্ড করে দিয়ে মোট ৫৬,৯০০.০০ পাউন্ডস অনুদান দিয়েছেন। এই অর্থ কেবল ভবিষ্যতের সম্পত্তি কেনা বা বিনিয়োগে ব্যবহৃত হবে—চলমান ব্যয়ের জন্য নয়।

গোলাপগঞ্জে সম্পত্তি কেনা: কমিউনিটির ঐক্যের প্রতিফলন

গোলাপগঞ্জে ট্রাস্টের নিজস্ব ভবন ক্রয়ের জন্য ২১,৯৩০.০০ পাউন্ডস সংগ্রহ করা হয়:

– ৩৬ জন স্থায়ী সদস্য দিয়েছেন ৫০০.০০ পাউন্ডস করে
– ২ জন অ্যাসোসিয়েট সদস্য দিয়েছেন ৫০০.০০ পাউন্ডস করে
– ২৫ জন অংশীদার দাতা দিয়েছেন মোট ২,৯৩০.০০ পাউন্ডস

২০২৩ সালের ১ মার্চ ক্রয় করা এই ভবন এখন ট্রাস্টের সকল অনুষ্ঠান ও কমিউনিটি কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।

ভাড়া আয় ও স্বয়ংসম্পূর্ণতা

এই সম্পত্তি থেকে ট্রাস্ট আয় করেছে মোট ১৫,৬০০.০০ পাউন্ডস:

– ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি- ডিসেম্বর : ৫,৭২০.০০ পাউন্ডস
– ২০২৪ সালে: ৬,২০০.০০ পাউন্ডস
– ২০২৫ সালের জানুয়ারি–জুলাই: ৩,৬৪০.০০ পাউন্ডস

এই ভাড়া আয়ও ট্রাস্টের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে পুনঃবিনিয়োগ করা হচ্ছে।

দাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা

২০২৩ ও ২০২৫ সালে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২,১৪৮.০৫ ব্যয়ে স্মারক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে বিশিষ্ট দাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে।

💰 আর্থিক সারসংক্ষেপ:
মোট সম্পদ: ৯২,২৮১.৯৫ পাউন্ডস
বাড়ি ক্রয় খরচ: ৫৬,২০৩.৯৪ পাউন্ডস
বর্তমান নেট ব্যালেন্স: ৩৬,০৭৮.০১ পাউন্ডস

এই অর্থ কেবল ভবিষ্যতের সম্পত্তি ক্রয় বা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত—অন্য কোনো খাতে ব্যয়যোগ্য নয়।

ট্রেজারারের বক্তব্য

সাইফুল ইসলাম, ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষ বলেন:
“এই আর্থিক অগ্রগতি আমাদের সকল সদস্যের ঐক্য, সততা ও দায়বদ্ধতার ফল। আমরা প্রতিটি পয়সা সতর্কভাবে ব্যয় করেছি এবং কমিউনিটির কাছে সর্বদা জবাবদিহির অবস্থানে রয়েছি।”

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: ট্রাস্ট ভবিষ্যতে একটি দ্বিতীয় সম্পত্তি কেনা এবং স্থায়ী কমিউনিটি সেন্টার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে। প্রবাসে বসবাসরত গোলাপগঞ্জবাসীদের জন্য এটি হবে একটি গর্বের ঠিকানা।